ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। এরফলে ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এক ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট এখন নতুন মাত্রা পেয়েছে। খবর বিবিসি'র।
খবরে বলা হয়, বরিস জনসন লন্ডনের সাবেক মেয়র। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নে যখন গণভোট হয়েছিল তখন বরিস জনসনই ছিলেন ইইউ ত্যাগের সমর্থক শিবিরের প্রধান নেতা। ওই গণভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে। এরপর ওই সময়কার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন এবং তেরেসা মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বরিস জনসনকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে তার নতুন ব্রেক্সিট বিষয়ক পরিকল্পনা প্রকাশ করার পর থেকেই তার কনসারভেটিভ পার্টির এমপিদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বলা হয়, বরিস জনসন এবং তার অনুগামীরা ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছেদের পক্ষে। যাতে ইউরোপ থেকে অবাধ অভিবাসন এবং ব্রিটেনের ওপর ব্রাসেলসের কর্তৃত্ব বন্ধ হয়। এদের বলা হয় ‘হার্ড বেক্সিট’ গ্রুপ।
বিবিসি আরও জানায়, বরিস জনসনের বিদায়ের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এক অপ্রস্তুত এবং কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছেন। এরফলে হয়তো কড়া ব্রেক্সিটপন্থী শিবির থেকে তেরেসা মে’র নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাকে জানানো হয়েছে তিনি তার পরিকল্পনা ত্যাগ না করলে একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল