নানা নাটকীয়তার পর সৌদি আরব অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছেন তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করা হয়েছে জামাল খাশোগিকে। গত ২ অক্টোবর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন খাশোগি। এরপর তার দেখা যায়নি তাকে।
সৌদি প্রথমে দাবি করেছিল কনস্যুলেটের পেছনের গেট দিয়ে বের হয়ে যান খাশোগি। এবার জানা গেল, খাশোগি নন, তার পোশাক করে পেছনের গেট দিয়ে কনস্যুলেট ত্যাগ করেন তারই ঘাতক। মূলত হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এটা করা হয়। তুরস্কের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, খাশোগির পোশাক পরা, নকল দাড়ি ও চশমা চোখে ওই ব্যক্তি কনস্যুলেট থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তার শারিরীক গড়নও খাশোগির মতোই। এই লোককে শহরের বিখ্যাত ব্লু মসজিদেও দেখা গেছে। ২ অক্টোবর খাশোগি কনস্যুলেটে ঢোকার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে মসজিদে দেখা যায়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, সৌদি আরবের এই কর্মকর্তার নাম মুস্তাফা আল-মাদানি। তিনিও খাশোগিকে হত্যার জন্য গঠিত ১৫ সদস্যের একজন ছিলেন। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা