পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবিকে খালাস দেয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে তেহরিক-ই-লাব্বাইক (টিএলপি)। সেই বিক্ষোভ থামাতে টিএলপির সঙ্গে চুুক্তি করতে হয়েছে ইমরান খান সরকারের।
গত বুধবার ঐতিহাসিক এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট আসিয়া বিবির আপিল আবেদন গ্রহণ করে তাকে খালাস দেয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানজুড়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামাবাদ, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিসহ দেশটির বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পরে বিক্ষোভ থামাতে টিএলপির সঙ্গে ইমরান খান সরকারের চুক্তির পর আটকে রাখা সড়কগুলো ছেড়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
মুক্তি পাওয়ার পর আসিয়া তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারে এমন আভাসের মধ্যেই টিএলপি ও সরকারের মধ্যে চুক্তিটি হয়। এই চুক্তির পর আন্দোলনকারীদের চলা বিক্ষোভ থেমে যায়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকার আসিয়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেবে এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিলেরও সুযোগ থাকবে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন সময়ে যাদের আটক করা হয়েছে, সরকার তাদের ছেড়ে দিলেও যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে। এর বদলে টিএলপি বিক্ষোভ বন্ধ করবে এবং সমর্থকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেবে।
পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবিসিকে তিনি জানান, এখনই উগ্রবাদ দমন না করতে পারায় এ পথেই হাঁটতে হচ্ছে তাদের।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে তেহরিক-ই-লাব্বাইক সর্বাত্মক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকদেরও হুমকি দিয়েছিল দলটি।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ নভেম্বর, ২০১৮/বাজিত হোসেন