পাকিস্তানে ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) মামলায় ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস পাওয়া খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবির স্বামী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। খবর বিবিসির
এক ভিডিও বার্তায় আসিয়ার স্বামী আশিক মাসিহ বলেছেন, পরিবার নিয়ে তিনি পাকিস্তানে খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন।
তিনি বলেন, “আমি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের স্বাধীনতার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”
সেই সঙ্গে তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদেরকেও বিষয়টি বিবেচনার জন্য আহ্বান জানান।
এদিকে শনিবার আসিয়ার আইনজীবী সায়িফ মু্ল্লুক প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
পাকিস্তানে তিনি জীবননাশের শঙ্কায় ছিলেন উল্লেখ করে একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, আসিয়া বিবির প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখতেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।
আসিয়া বিবির পুরো নাম আসিয়া নরিন। ২০০৯ সালে তিনি নিজ গ্রামের প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছিলেন। সেখান থেকে এই মামলার শুরু। ওই সালেই তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। লাহোর হাইকোর্টও ওই দণ্ড বহাল রেখেছিল। ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন তিনি।
অবশেষে গত বুধবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার, আসিফ সাইদ খোসা ও মাজহার আলম খান মিয়ানখেল আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ওঠা অবমাননার দায় থেকে রেহাই দেন।
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর ২০১৮/আবুল কালাম