স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট চলছে নিকেল সমৃদ্ধ ফরাসি ভূখণ্ড নিউ ক্যালেডোনিয়ায়। এটি ফ্রান্সের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত একটি এলাকা। এই গণভোটে সিদ্ধান্ত হবে নিউ ক্যালেডোনিয়া ফ্রান্সের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে নাকি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে বিশ্ব মানচিত্রে।
আদিবাসী কনক জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতাকামীদের সহিংস আন্দোলনের পর প্রায় দুই দশক আগে এই গণভোটের প্রতিশ্রুতিতে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওই অংশে গণভোটের আয়োজন করা হয়। খবর বিবিসির
স্বাধীনতার পক্ষে যেসব গোষ্ঠী রয়েছে তারা কনক ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তাদেরকে ভোট দিতে। ভোটারদের বলেছেন, প্যারিসের ঔপনিবেশিক কর্তৃত্বের শেকল ভেঙে বেরিয়ে আসুন।
তবে জনমত জরিপ বলছে, বেশির ভাগ ভোটার স্বাধীনতার আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। নিউ ক্যালেডোনিয়ায় মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার। এ ভূখণ্ডটি অস্ট্রেলিয়া থেকে পূর্ব দিকে। সেখানে রয়েছে জাতিগত ইউরোপীয়ান। আর তাদের মধ্যে ফরাসি জাতীয়তাবোধ খুব শক্তিশালী।
আবার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কনক জাতিগোষ্ঠীর অনেকে আবার ফ্রান্সের সঙ্গেই থাকতে চাইছেন। দুপুর পর্যন্ত সেখানে ভোটদানের হার শতকরা ৪১.৮ ভাগ। ২০১৪ সালে সেখানে স্থানীয় নির্বাচনে একই সময়ে ভোট পড়েছিল শতকরা ২৭.৩ ভাগ।
নিউ ক্যালেডোনিয়া একটি প্রত্যন্ত দ্বীপ। প্রতি বছর তা পরিচালনা করার জন্য ফরাসি সরকারের কাছ থেকে ১৫০ কোটি ডলার পায় তারা।
ওই দ্বীপে রয়েছে নিকেলের বিশাল ভান্ডার। ইলেক্ট্রনিক পণ্য তৈরিতে এই নিকেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফ্রান্স এই দ্বীপটিকে ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে দেখে থাকে।
গণভোটের ফল ঘোষণার পর এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের।
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর ২০১৮/আবুল কালাম