ব্রিটেনে কখনও না গিয়েও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার সুযোগ এসেছে। এখন থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতসহ ৫৩টি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকরা জীবনে কখনও ব্রিটেনে বসবাস না করলেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমনকি এই আবেদন করা যাবে নিজের দেশে বসেই।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈন্যের ঘাটতি দিন দিন এতটাই বাড়ছে যে নিয়োগের রীতি শিথিল করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে।
ব্রিটেনের সেনাবাহিনীতে কমনওয়েলথের নাগরিকরা সবসময়ই যোগ দিতে পারতেন। তবে শর্ত হচ্ছে আবেদন করার আগে তাকে অন্তত পাঁচ বছর ব্রিটেনে বসবাস করতে হবে।
১৯৯৮ সালে এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হলেও ২০১৩ সালে সেই নীতি আবারও কার্যকর করা হয়।
অবশ্য কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাসের শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয় ২০১৬ সালে। সে বছর থেকে পাঁচ বছর বসবাস না করেও বছরে বড়জোর ২০০ জন কমনওয়েলথ নাগরিককে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তবে সেই শর্তও এখন তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীতে লোকের ঘাটতি চরমে
ব্রিটেনের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে লোকের ঘাটতি ৮,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্ত শিথিলের ফলে বছরে অতিরিক্ত ১৩৫০ জন সৈন্য নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে।
২০১৭ সালে এমপিদের এক রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের সঙ্কট সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছিল।
কারণ হিসাবে তখন বলা হয়েছিল, ব্রিটেনে শারীরিক স্থূলতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে।
এশীয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টে ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্তও শিথিলের সিদ্ধান্ত হলো।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/৬ নভেম্বর ২০১৮/আবুল কালাম