দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা প্রশমনে মঙ্গলবার তুরস্ক সফর করছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি সিপ্রাস। সফরকালে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। এসময় দ্বিপক্ষীয় বিভেদ ও দীর্ঘদিন ধরে চলা সাইপ্রাস সংকট নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। খবর এএফপি’র।
এরদোগান ও অ্যালেক্সিস সাইপ্রাসের বিতর্কিত জ্বালানি অনুসন্ধান, এজিয়ান সাগর ইস্যু, একটি অভিবাসন চুক্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকরা এই আলোচনা থেকে বেশি কিছু আশা করছেন না।
গ্রিস সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রিস জানাকোপোউলোস ক্রিটি টিভিকে বলেন, ‘আমরা তুরস্কের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে একটি সংকটজনক সময় পাড় করছি। এজন্য পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরোও বলেন, ‘এই সফর উত্তেজনা প্রশমন করতে পারে।’
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এরদোগান গ্রিস সফর করেন। ৬৫ বছরের মধ্যে সেবারই তুরস্কের কোনো প্রেসিডেন্ট গ্রিস সফর করেছে। তবে তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ১৯২৩ সালে করা লুসানের চুক্তিতে তুরস্ক তার ন্যায্য সীমানা পায়নি দাবি করে এর পুনঃপর্যালোচনার কথা বলেন।
অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই চুক্তির মাধ্যমেই আধুনিক তুরস্কের সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া তুরস্কের নেতা সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে চুক্তির একটি অধ্যায় তুলে ধরে গ্রিসের কোমোতিনির মতো উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তীর শহরগুলোতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যের’ নিন্দা জানান। তিনি চুক্তির ওই অংশটিকে মুসলিমদের জন্য ‘অসম্মানজনক’ আখ্যায়িত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম