যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ২২ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ ঋণের পরিমাণ ২২.০১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে মার্কিন অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দেশটিতে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের পেনশন এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত খরচের কারণে আগামী দশকের প্রতি বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার করে ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ২০১৭ সালে মার্কিন জাতীয় ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯.৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
মার্কিন থিংক ট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান মাইকেল পিটারসন বলেছেন, জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। এতে প্রতিটি মার্কিন নাগরিকের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকিতে পড়েছে।
আরও দুঃসংবাদ উঠে এসেছে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ইউএস হাউজহোল্ড ডেবট অ্যান্ড ক্রেডিট রিপোর্টে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষে আমেরিকানদের বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ১৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।
কর হ্রাস এবং অভ্যন্তরীণ ও সামরিক কর্মসূচিতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মার্কিন সরকারের ঋণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) মনে করছে, ২০১৯ অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ৮৯৭ বিলিয়ন ডলার হবে। সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ২০২২ সাল নাগাদ এই ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে এক ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন