ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পত্তি জব্দ করছে দেশটির সরকার। এ বিষয়ে একটি আইন দেশটির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার জন্য আইনটি এখন সংসদে উত্থাপিত হবে। সংসদে পাশ হলেই কার্যকর হবে আইনটি। এ আইনের আওতায় সাদ্দাম হোসেনসহ তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংবিধানের ৭২ নং দফার ২০১৭ সংশোধনী অনুযায়ী সাদ্দাম হোসেনের সম্পত্তি বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইরাক সরকার গত বছরের মার্চে বিলুপ্ত হতে চলা বাথ পার্টির ৪ হাজার ২৫৭ নেতার সম্পত্তি জব্দ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। যাদের মধ্যে ৫২ জন এমন নেতা রয়েছে, যাদের কেউ ফাঁসিপ্রাপ্ত বা জেলে রয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর এদের অনেকেরই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ইরাকে মার্চ-এপ্রিল মাসে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন অভিযানে সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হন। জুলাই মাসে মসুল শহরে আরেক অভিযানে নিহত হন তার দুই ছেলে উদে ও কুসে হোসেন। এর পর সে বছরই ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ তিকরিতের কাছে একটি খামার বাড়িতে মার্কিন সেনাদের হাতে ধরা পড়েন সাদ্দাম হোসেন।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সহ একাধিক অপরাধের দায়ে তার বিচার হয়, এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন