মঙ্গলবার ভোর রাতের অন্ধকারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একদম ভিতরে ঢুকে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ভারতের যুদ্ধবিমান 'মিরাজ ২০০০'। পুলওয়ামা কাণ্ডের এই প্রত্যাঘাতে কতটা ক্ষতি হল জঙ্গিদের, জঙ্গি দমনে কতটা এগিয়ে গেল ভারত- তা নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা?
দেশটির প্রাক্তন সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দাদের। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও বলা সম্ভব নয়। কিন্তু যেভাবে জইশের সব থেকে বড় ঘাঁটিতে ঢুকে আক্রমণ চালালো ভারতীয় বিমনাবাহিনী, তা আসলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নিখুঁত তথ্য জোগাড় করে দেওয়াকেই সামনে আনছে।’’
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অনিল গৌড় জানিয়েছেন, এই বিমান হামলার জন্য যে প্রস্তুতি ভারত নিয়েছে, সেটাই তাঁকে চমকে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বিমান হামলায় সবার আগে প্রয়োজন হয় নিখুঁত খবরের। এই জায়গাতেই অনেক এগিয়ে গেছে ভারত। কারণ, বিমান হামলার সময় যুদ্ধবিমানকে প্রথম শত্রুঘাঁটির আকাশে একেবারে গাছের উচ্চতায় নামিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তারপর যুদ্ধবিমান খাড়া ৯০ ডিগ্রি ওপরে ওঠে। ওপর থেকে বোমাবর্ষণ করে পাইলট আবার যুদ্ধবিমানটি নীচের উচ্চতায় নামিয়ে এনে অন্য এলাকার দিকে ছুটে যায়।’’
অনিল গৌড়ের কথায় এই ধরনের আক্রমণ বিপজ্জনক, কারণ প্রতিপক্ষ বিন্দুমাত্র খবর পেলে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দিতে পারে। কারণ, যুদ্ধবিমান শত্রুঘাঁটির একদম কাছে পৌঁছে যায় । আশঙ্কা থাকে শত্রু রাডারে ধরা পড়ে যাওয়ার। তাই পাইলট এবং যুদ্ধবিমান, সবার জন্যই এই ধরনের আক্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’
বিপদের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও যেভাবে জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী, তা দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক বলে জানিয়েছেন অনিল গৌড়। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের থেকে ভারতের বিমানবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই প্রথম আক্রমণ করার জন্য বিমান বাহিনীকে বেছে নেওয়াও ভারতের সেরা কৌশল।’’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/হিমেল