সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক প্রথম বৈঠকের আট মাস পর আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বুধবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় এক নৈশভোজে অংশ নিবেন কিম ও ট্রাম্প।
নৈশভোজ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো সংক্ষিপ্ত মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হবেন তারা। এরই মধ্যে বৈঠক করতে ভিয়েতনামে উপস্থিত হয়েছেন কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন।
কিমের এবারের সফরের ভিন্নতা ছিল ট্রেন। উত্তর কোরিয়া থেকে চীন হয়ে আড়াই দিনের লম্বা সফরে মঙ্গলবার ভিয়েতনাম পৌঁছান কিম।
একই দিন সন্ধ্যার মধ্যে ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে করে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান।
রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে যে ট্রেনে করে কিম রওনা হয়েছিলেন সেটি চীনের সীমান্ত পেরিয়ে ভিয়েতনামের ডং ড্যাং শহরে পৌঁছলে দেশটির কর্মকর্তারা তাকে উষ্ণঅভ্যর্থনা জানান। উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামের পতাকায় সজ্জিত ডং ড্যাং রেলস্টেশনে কিমকে গার্ড অব অনারসহ লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
কিমের বোন ও তার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী কিম ইয়ো জোং-ও ভাইয়ের সঙ্গে ভিয়েতনামে এসেছেন।
সেখান থেকে গাড়িতে করে হ্যানয়ের পথে রওনা হন কিম। দুই ঘন্টার এই যাত্রাপথে প্রায় এক ডজন দেহরক্ষী তার গাড়ির পাশে পাশে দৌড়ে যায়।
এ সময় ডং ড্যাং থেকে হ্যানয়ের পথে অন্যান্য গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। হ্যানয়ের মেলিহা হোটেলে যাওয়ার পুরোটা পথ সাঁজোয়া যান নিয়ে পাহারা দেয় ভিয়েতনামিনিরাপত্তা বাহিনী। ভিয়েতনাম সফরে এই মেলিহা হোটেলেই অবস্থান করবেন উত্তর কোরীয় নেতা।
সফরকালে কিম ও ট্রাম্প উভয়েরই পৃথকভাবে ভিয়েতনামি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা আছে।
তবে এই বৈঠকে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দিকে ট্রাম্পের প্রস্তাব, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ওঠাতে কিমের ভূমিকা।
এছাড়া ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণায় কি একমত হবেন কিম-ট্রাম্প? বৈঠকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বিশ্বের বিভিন্ন মহল।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত