পুলওয়ামা কাণ্ডের পর গত মঙ্গলবার ভোর রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতরে ঢুকে বোমাবর্ষণ চালায় ভারতের যুদ্ধবিমান 'মিরাজ ২০০০'। ভারতের প্রত্যাঘাতের ২৪ ঘণ্টা পর ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান।
বুধবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নওশেরা সেক্টরে ৩টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের দেখা মেলে বলে জানা যায়। তবে সেগুলো রাডারে ধরা পড়তেই সক্রিয় হয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। ভারতের দাবি, তাদের তাড়া খেয়েই শেষ পর্যন্ত ফিরে যায় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো।
তবে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার আগে তারা একটি বোমা ফেলে যায় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছেন ভারতের বিমানবাহিনীর পাইলট অভিনন্দন। এমন পরিস্থিতিতে ফের একবার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সন্ধ্যায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বুধবার সকালেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। পাকিস্তান দাবি করে তারা এক ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পরই ফের বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
এদিকে, পাকিসাত্নি সেনার মুখপাত্র জেনারেল আসিফ গফুর গতকাল বুধবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, দুই ভারতীয় যুদ্ধ বিমান এবং দুই পাইলটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গফুর দাবি করেন, ‘‘এক পাইলটকে বন্দী করা হয়েছে এবং অন্য এক পাইলটকে আহত অবস্থায় সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
তবে এর ৬ ঘন্টা পর গফুর জানান, ‘‘একজন পাইলটই পাকিস্তানি সেনার হেফাজতে রয়েছে। তার নাম উইং কমান্ডার অভিনন্দন। মিলিটারি রীতিনীতি অনুযায়ী তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে।’’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর