জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপর ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। এর মধ্যে দুইজন পাইলটকে আটকের কথা জানালেও পরে একজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপরই ভারতীয় গণমাধ্যমে জেনেভা চুক্তির বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে। কিন্তু কেন এবং এই চুক্তিতে কি আছে?
এনডিটিভি বলছে, জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা পাইলটের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে দেশটিকে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, পাকিস্তান সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পাইলটকে বেঁধে তাঁর রক্তাক্ত মুখের ছবি প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এনডিটিভি ওই ভিডিওটিকে সম্প্রচার করবে না। যদিও, সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে খুব তাড়াতাড়িই মুছে ফেলা হয়।
টুইটারে প্রবলভাবে 'জেনেভা চুক্তি' এবং হ্যাশট্যাগ দিয়ে যুদ্ধকে 'না' বলুন ("#SayNoToWar") প্রচার চলছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি যে ভয়ঙ্কর উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাও যাতে প্রশমিত হয়, তা নিয়েও সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
ভারত সরকার জানিয়েছে, একজন ভারতীয় পাইলট রয়েছেন পাকিস্তানের হেফাজতে। বুধবার সকালেই একটি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামায় পাকিস্তান। ভারত জানিয়েছে, ওই পাইলট নিরাপদে ও সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে আসবে বলেই প্রত্যাশা রয়েছে তাদের। পাকিস্তান দাবি করেছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে তারাও এয়ার স্ট্রাইক করেছে। মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আরও ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের বালাকোটে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরই দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে বিশ্বের তাবড় নেতারা জেনেভা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৯৬টি দেশের স্বাক্ষর রয়েছে এই চুক্তিটিতে। যুদ্ধবন্দিদের অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলে এই চুক্তি। তাদের অসুস্থতার সময় বা তারা আহত হলেও ঠিকভাবে দেখভাল করতে হবে। এমনটাই বলা রয়েছে চুক্তিটিতে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব