বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট চত্বর। এরই মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শীর্ষ আদালতের বাইরে আইনজীবী ও মহিলা সমাজকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, সঠিক তদন্ত না করেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে।
এর আগে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী (জুনিয়র কোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট) সুপ্রিমকোর্টে ২২ বিচারপতিকে তার অভিযোগের কথা লিখিতভাবে জানান।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ওই নারীর অভিযোগ ছিল, গত বছর ১০ এবং ১১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তার বাসভবনে ওই নারীকে যৌন হেনস্তা করেন। তাকে আলিঙ্গন করে তার ওপর জোরজবরদস্তি করা হয় এবং তিনি (নারী) চলে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। কভারিং লেটারে ওই নারী একটি এফিডেভিটে বিস্তারিত জানান সবকিছু।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সেক্রেটারি জেনারেল সঞ্জীব কুমার সুধাকর কালগাঁওকর বলেন, এই অভিযোগ গগৈয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আনা হয়েছে। এগুলির কোনও ভিত্তি নেই। এই অভিযোগ থেকে গতকাল সোমবার ক্লিনচিট পান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিন বিচারপতির প্যানেল তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।
প্যানেলের তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মামলার শুনানি শেষে তিন বিচারপতিই গগৈকে ক্লিনচিট দেন।
তবে তার আগে শুনানির মাঝপথে নিজেই সরে দাঁড়ান শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী। তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে খুশি নন তিনি বলে জানান। তার মতে, এখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিও দেন অভিযোগকারী ওই নারী। তার আশঙ্কা, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তার অভিযোগের সঠিক বিচার পাবেন না।
তিনি জানান, “আমার মনে হয় আমি বিচারকদের এই বেঞ্চের কাছে সঠিক বিচার পাবো না। তাই আমি আর এই বিচারকদের সামনে শুনানিতে হাজির হবো না। আমি এই শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালাম।”
অভিযোগকারিণীর এই বক্তব্যের পরই মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলা সমাজকর্মী ও আইনজীবীরা। তাদের দাবি, তদন্তে প্রভাব বিস্তার করে সঠিক তথ্যকে ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম