প্রলোভন দেখিয়ে ও জোরজবরদস্তি করে পাকিস্তানি খ্রিষ্টান তরুণীদের বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে চীনা ধনকুবেররা। বিয়ের নামে সেখানে তাদের এক প্রকার ‘যৌন দাসী’ হিসেবে ব্যহার করা হচ্ছে। সম্প্রতিকালের কয়েকটি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এপি।
এপির খবরে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রথমে প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ের মা-বাবাকে রাজি করিয়ে মেয়েকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বৈবাহিক সম্পর্কের নামে তাদের ‘যৌন দাসী’র মতো ব্যবহার করে। এতে এদের অনেকেই বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরে আসে ঐ তরুণীরা।
জানা যায়, যেসব পাকিস্তানি বাবা-মা এসব ধনী চীনা নাগরিকের সঙ্গে তাদের সন্তানকে বিয়ে দেন তারা মনে করেন, তাদের জামাতা বেশ টাকাওয়ালা মানুষ। তাতে তাদের মেয়েরা সেখানে সুখেই থাকবেন। কিন্তু বিয়ের পর অনেক তরুণী, মানবাধিকারকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এসব তরুণী বাধ্য হয়েই বিয়ে করে সেদেশে যান।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এমনই একজন মুকাদাস আশরাফ, বয়স মাত্র ১৬। তার বাবা-মা চীনা নগারিকের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়। পরে বিয়ের পাঁচ মাস পর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পাকিস্তানে ফিরে আসেন মুকাদাস এবং তার পরিবারকে জানান তার উপর চরম নির্যাতনের কথা। গত বছরের শেষ থেকে বিয়ের কথা বলে যাদেরকে চীনে পাচার করা হয়েছে, তাদের একজন মুকাদাস।
এ ঘটনার বাইরেও গেল মাসে হিউম্যান রাইটস এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে, পাকিস্তানের সে সব তরুণী ও নারীদের চীনে পাচার করার মাধ্যমে যৌন দাসত্বের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এবার এপির প্রতিবেদনে নারী পাচার ও অর্থের প্রলোভনের বাইরে চীনা ধনকুবেররা নতুন ফাঁদে বিয়ের নামে পাকিস্তানি তরুণীদের ‘যৌন দাসী’ বানানোর ঘটনা উঠে এলো।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক