১৫ জুন, ২০১৯ ১২:৪২

ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি; ভারতে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ডাক

দীপক দেবনাথ, কলকাতা :

ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি; ভারতে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ডাক

কলকাতায় এনআরএস মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে সোমবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এদিকে, হাসপাতালে অচলাবস্থ কাটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কঠোর হলেও এবার নরম সুর তারই দলের একাধিক নেতা ও সমর্থকদের। 

সাংসদ ও অভিনেতা দীপক অধিকারীর (দেব) টুইট করে লিখেছেন ‘যারা আমাদের প্রাণ বাঁচান তারা কেন বারবার মার খাবেন? তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আবার তারই সাথে লাখ লাখ অসুস্থ মানুষ ডাক্তারদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাশে না দাঁড়ালে তারা অসহায়! সবার শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক, সমস্যার সমাধান চাই।’

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিও। টুইটারে তিনি লিখেছেন ‘রোগীদের প্রাণ বাঁচানো যেমন ডাক্তারদের কর্তব্য তেমনি আমাদের সকলের কর্তব্য এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমি চাই সুস্থ স্বাস্থ্য পরিষেবা তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক। হিংসা নয়, কলকতা শান্তির শহর। সবাই মিলে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই আর রক্ষা করি তাদের প্রাণ।’

ডাক্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ ও সাবেক রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও। চিকিৎসক নিগৃহ ইস্যুতে শুক্রবার বিকালেই এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে কর্মবিরতিরত চিকিৎসকদের সাথে দেখা করেন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, পাপিয়া অধিকারী, অভিনেতা কৌশিক সেন, সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র, সমাজসেবী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাদের অনেকেই কয়েক হাজার চিকিৎসকদের সাথে রাস্তায় মিছিলে পা মেলান। 

এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতার ভাইপো চিকিৎসক আবেশ ব্যানার্জি,  কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কন্যা সাব্বা করিম, বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের চিকিৎসক পুত্র বৈদ্যনাথ ঘোষ দস্তিদারও। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের এবং তারই ঘনিষ্ঠদের ছেলেমেয়েদের এই আচরণে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে আবেশ-কে তো জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে নীলরতন সরকার হাসপাতালে মিছিলে অংশ নিতেও দেখা যায়।  

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন রাতে কলকাতার নীল রতন সরকার (এনআরএস) মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। হামলায় পরিবহ মুখার্জি এবং যশ তখওয়ানি নামে দুই জুনিয়র চিকিৎসক মারাত্মক ভাবে আহত হন। ওই ঘটনার পর ১১ জুন থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর ১৩ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে এস প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন মমতা ব্যানার্জি। মমতার দাবি বহিরাগতরাই গন্ডগোল পাকাচ্ছে। সময় বেধে কর্মবিরতি তুলে নিতে রীতমতো হুমকি দেন তিনি। কার্যত এরপর থেকেই গোটা রাজ্যের পাশ দেশজুড়ে এর আঁচ পড়ে। সবমিলিয়ে টানা পাঁচ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলিতে অচলাবস্থা। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর