পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। চলমান এই উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে ইরান ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। সার্বিয়া সফররত ম্যাঁক্রো সোমবার রাতে বেলগ্রেডে স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার আসন্ন সংলাপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করবে।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় কী ধরনের শর্ত নিয়ে আবার আলাপ শুরু করা যায় সে বিষয়ে ফ্রান্স ও ইরান একমত হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এমানুয়েল ম্যাক্রো। এ নিয়ে ম্যাক্রোর সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। এর ফলে তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়।
২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। সে সময় ইরানকে শর্ত দেয়া হয়েছিল যে, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার উপর দেওয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করেছে। গত মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দিয়েছে। ইরান এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার