অবৈধ বিদেশিদের জন্য আসামে ১০টি বন্দি শিবির নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। চলমান ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) এর কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে শেষ হলে তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে না, তাদেরকে গ্রেফতার করে এসব বন্দি শিবিরে রাখা হবে।
শুক্রবার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এদিকে, আসামে মুসলিম বন্দি শিবির নির্মাণ ও কাশ্মীরে গণ-গ্রেফতারের পৃথক এ দুই ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য প্রমীলা জয়পাল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে দুই হাজার মানুষকে ভারত সরকারের গ্রেফতারের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আসাম ও কাশ্মীরের মুসলিমদের জন্য বিশাল আকারের বন্দি শিবির নির্মাণে ভারত সরকারের শীর্ষ পরিকল্পনার অংশ এটি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জুলাই ভারতীয় নাগরিকত্বের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে আসামের প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ দেয়া হয়। আসামের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) কর্তৃপক্ষ এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসামে পাড়ি জমানো অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১৯৫১ সালের পর গত বছর প্রথমবারের মতো নাগরিকত্বের তালিকা হালনাগাদ করে আসাম।
এনআরসির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি খসড়া তালিকা মাত্র। সুতরাং এখনই কাউকে গ্রেফতার অথবা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে না। তবে সমালোচকরা বলেছেন, নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়াদের অধিকাংশই প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসিলম জনগোষ্ঠীর সদস্য এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং এমপি বিভিন্ন সময়ে আসামের এই বাংলাদেশি মুসলিমদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম