পাকিস্তানে ঢুকে গত কয়েক বছর আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গিদের কোমড় ভেঙে দিয়ে আসে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। বলা হয়, ভারতীয় সেনার এই অভিযানে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। যদিও এরপর থেকে বারবার এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এমনকি প্রমাণও চায় বিরোধীরা।
যদিও সম্প্রতি সেই চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনা। যদিও অনেকেই দাবি করেছেন ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইকের খবর ভুয়া। এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন ভারতের নাগ্রতা করপস এর প্রাক্তন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল রাজেন্দ্র নিমবরকার। তিনি জানিয়েছেন, রাতের এই অন্ধকারে অভিযান চালানোর সময় চিতা বাঘের মূত্র ব্যবহার করেছিল সেনাবাহিনী।
কিন্তু কেন এই মূত্র ব্যবহার?
তিনি জানান, কুকুরের চিৎকার থামাতে তাদের মুখে চিতার মূত্র ছুড়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। যে এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল প্রথমে সেখানকার প্রাণীদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, ওই এলাকায় বারবার কুকুরের উপর আক্রমণ চালায় কত। তাই চিতার হাটপথেকে বাঁচতে লোকালয়ে থাকতেই পছন্দ করে কুকুরেরা। ফলে ভারতীয় সেনাব সেখানে প্রবেশ করলে, সেনা জওয়ানদের দেখে কুকুর চিৎকার করার সম্ভাবনা ছিল। তাই আগে থেকে চিতার মূত্র রেখেছিল সেনাবাহিনী। কুকুর দেখেই তাদের গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় সে মূত্র। আর তাতেই ভয় পেয়ে পালায় কুকুর।
ফলে সেনার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। এই অভিযানের সেনাবাহিনী চরম গোপনীয়তা বজায় রেকগেছিল বলেও জানান তিনি। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিককর গোপনে ওই অভিযান চালানো নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে অভিযানের কথা জানানো হলেও কোথায় অভিযান হবে সেটা জানানো হয়েছিল একেবারে শেষ মুহূর্তে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পাকিস্তান সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার ভিতর ঢুকে এক গোপন অভিযানে পাকিস্তান সেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নামে পরিচিত। নিমবরকার বলেন, ভোর সাড়ে ৩টা কেই সঠিক সময় বলে মনে করেন তারা। তাই ওই সময় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সীমান্ত পেরিয়ে অভিযানে ২৯ জন জঙ্গিকে খতম করে সেনাবাহিনী। সূত্র: কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত