ভারতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ পোস্টার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা আসার পর মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টিম কাজ শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরিধান ছাড়া ইমিগ্রেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চিকিৎসা নিতে যাওয়া কয়েক যাত্রী বলেন, ‘শুধু করোনার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এমনটা ঠিক নয়, সব সময় এটি ব্যবহার করা উচিত।’
ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশে আসা গাইবান্ধার রফিকুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ভারতের প্রায় ১০দিন ছিলাম। সেখানে প্রতিটি স্থানেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে এসে এখানকার (ইমিগ্রেশন) চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, অনেক পরামর্শ দিয়েছে, এটা ভালো উদ্যোগ।
বাড়তি সতর্কতার বিষয়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব জানান, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনা মোকাবেলার জন্য যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বুথ বসানো হয়েছে। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন প্রতিনিধি আছেন। যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইলতুতমিশ আকন্দ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন প্রতিনিধি আছেন। তাকে সহায়তা করতে একজন ভলান্টিয়ার রয়েছে। ভারতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতাস্বরুপ পারাপার যাত্রীদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি। মানুষের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে বলছি। করোনার প্রথম উপসর্গ হলো হালকা জ্বর হওয়া, কাঁশি, গলা ব্যথা, খাবারে অরুচি থাকতে পারে, এছাড়াও অনেক সময় রোগীর নাকের গন্ধ চলে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলোয় তাদের সচেতন করছি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ