আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। তবে কোনো চুক্তি না করে ইইউ থেকে বিচ্ছেদে যাওয়া বা ‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট’ অবশেষে আটকে গেছে ব্রিটেনের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসেও।
বিরোধী এবং বিদ্রোহীদের ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’র বিরুদ্ধে আনা বিল অনুমোদন পেয়েছে লর্ডসে। এর আগে দেশটির নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে এমপিদের ভোটে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এখনই না করার এই বিল পাস হওয়ায় হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
শুক্রবারও লর্ডসে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ ইস্যুতে বড় পরাজয় ঘটে কনজারভেটিভ সরকারের। এর আগে বুধবারও কমন্সে প্রথম দফায়ও পরাজয় ঘটে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে কমন্সে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। তাদের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী এমপিরাও। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি পাস হয়। হেরে যায় বরিস জনসন সরকার। পরে শুক্রবার এই প্রস্তাব যায় লর্ডসে। সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় আপাতত আটকে গেছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট। যদিও রানি এলিজাবেথের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এখনও বাকি।
এছাড়া বুধবার কমন্সে আগামী ১৫ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব এনেছিলেন জনসন। যে প্রস্তাবটিও নাকচ করে দেন বিরোধী দল এবং কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিরা।
মঙ্গলবার বিদ্রোহী ২১ এমপিসহ বিরোধীদের ভোটে চুক্তহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় হেরে যায় করজারভেটিভ সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন