মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড ইরানের সামরিক সক্ষমতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র ও সাইবার জগতে নিজের সক্ষমতার যথেষ্ট উন্নতি ঘটিয়েছে ইরান। তিনি শুক্রবার আমেরিকার কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ডানফোর্ড ইরানের হাতে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ইরানিরা যে সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে তা এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়। জেনারেল ডানফোর্ড দাবি করেন, ইরানের পক্ষ থেকে মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার খবরে তিনি বিস্মিত হননি কারণ, দেশটির সামরিক শক্তি সম্পর্কে তার আগে থেকে ধারণা ছিল।
গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন ‘গ্লোবাল হক’ মডেলের একটি অত্যাধুনিক মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে। ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর এটিকে গুলি করা হয়।
আইআরজিসি’র ‘থার্ড খোরদাদ’ নামক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মোড়ক ২০১৪ সালে উন্মোচন করা হয়েছিল। এতদিন এই ব্যবস্থা দিয়ে শত্রুর কল্পিত লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা হলেও এবারই প্রথম শত্রুর প্রকৃত লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
ওই ড্রোন ভূপাতিত করার একদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি ইরানে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েও ইরানিদের ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে সে নির্দেশ বাতিল করেন। তবে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পেছনে ইরানের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াশিংটনের নয়া উপলব্ধিই যে আসল কারণ ছিল তা জেনারেল ডানফোর্ডের সর্বশেষ মন্তব্যে প্রমাণিত হলো। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক