ব্যর্থতা শেখায়। ব্যর্থতার চেয়ে ভালো শিক্ষক কেউ হয় না। ব্যর্থ হয়েছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতিমান পরমাণুবিজ্ঞানী আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আবদুল কালাম। তবে হতাশা গ্রাস করেনি তাকে। বরং এনে দিয়েছিল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
চন্দ্রযান-২ অভিযান ইসরোর পরিকল্পনামতো সম্পন্ন না হওয়ায় ঘুরেফিরে আসছেন কালামের সেদিনের কাহিনী।
১৯৭৯ সালে এসএলভি-৩ রকেট উৎক্ষেপণ সফল হয়নি ইসরোর। ব্যর্থ হয়েছিলেন আবদুল কালাম। কিন্তু পরের বছরই আসে সাফল্য। ২০১৩ সালে তার জীবনের ব্যর্থতা নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন দেশটির এই খ্যাতিমান বিজ্ঞানী।
১৯৭৯ সালে ভারতের প্রথম এসএলভি-৩ রকেটের উৎক্ষেপণ প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন কালাম। তখন ইসরোর চেয়ারম্যান প্রফেসর সতীশ ধবন।
প্রথম চেষ্টায় সফল হননি আবদুল কালাম। ২০১৩ সালে একটি অনুষ্ঠানে তিনি স্মৃতিচারণা করেছিলেন, শ্রীহরিকোটায় ভারতের প্রথম এসএলভি-৩ রকেট উত্ক্ষেপণ প্রকল্পের তিনিই ছিলেন তদারক। কিন্তু টি মাইনাস ৪০ সেকেন্ডে কম্পিউটার মিশনটিকে থমকে দেয়। বিশেষজ্ঞরা উৎক্ষেপণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনিই। সফল হননি। বঙ্গোপসাগরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতের প্রথম এসএলভি ৩ রকেট।
এপিজে আবদুল কালাম বলেছিলেন, প্রথমবার ব্যর্থ হয়েছিলাম। কীভাবে ব্যর্থতা সামলাব? ভেবে পাচ্ছিলাম না।''
সেই সময় ইসরোর চেয়ারম্যান সতীশ ধবন সংবাদ সম্মেলনে কালামকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ''বন্ধুরা, আমরা আজ ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও কর্মীদের পাশে রয়েছি। পরের বছর সফল হবই।''
১৯৮০ সালের ১৮ জুলাই। উপগ্রহ রোহিনি আরএস-১ সফলভাবে উতক্ষেপণ করেছিল ইসরো। তখন আবদুল কালামকে সংবাদ সম্মেলনে যেতে বলেন সতীশ ধবন।
সে কথা স্মরণ করে কালাম বলেন, 'ওই দিন একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছিলাম। সংস্থা ব্যর্থ হলে নেতা নিজের কাঁধে দায়িত্ব নেন। কিন্তু সাফল্য পেলে এগিয়ে দেন দলকে।''
ইসরোর চন্দ্রযান-২ অভিযানও ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ঠিক ২.১ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।
শনিবার ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন, আগামী ১৪ দিন ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগের চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিজ্ঞানীদের। সূত্র: জি নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন