গত তিন মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাত দেখা গেছে হংকংজুড়ে। শুরুর দিকে শান্তিপূণ থাকলেও দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে সহিংস হয়ে উঠেছে হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভরত মানুষের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে একটি গান। এটা কেবল একটি গান নয়, এটি বহু মানুষের কাছে জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠেছে।
গান গেয়ে বিক্ষোভ করেছে প্রতিবাদী জনতা। তার মধ্যে গ্লোরি টু হংকং শিরোনামের গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটি সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল জনসমাবেশ থেকে একসঙ্গে গাওয়া হয়, ফর হংকং, মে ফ্রিডম রেইজন। এর আগের সপ্তাহে মার্চ অব দ্য ভলান্টিয়ারস শিরোনামের গান একযোগে গাওয়া হয়।
তবে গ্লোরি টু হংকং শিরোনামের গানের গীতিকার নিজের নাম কেবল থমাস বলে উল্লেখ করেছেন। সরকারি বাহিনীর ভয়ে তিনি পুরো নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। সেই তিনি বলেন, আমি এমন এক ধরনের সুর তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যা সমস্ত প্রতিবাদকারীকে, এমনকি সাধারণ মানুষকে একত্রিত করতে পারে। সবার মুখে মুখে যেন সহজে উচ্চারিত হয় এই কথাগুলো।
আগস্টের শেষের দিকে ওই গান ইউটিউবে রিলিজ দেওয়া হয়। তারপর গানটি ১৬ লাখের বেশি মানুষ দেখেছে। গানটির আরেক ভার্সন দশ লাখের বেশি মানুষ দেখেছে।
এরই মধ্যে অনেকেই এই গানটিকে 'স্বাধীন হংকংয়ের' জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে অভিহিত করেছে। যদিও হংকং কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র নয়। এটা চীনের একটা অংশ। অথচ, আলাদা আইনে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ করে চীন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন