সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে শনিবারের চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল উত্তোলন ক্ষেত্রে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই দাবির প্রেক্ষিতে ইরানের রেভ্যুলুশনারী গার্ডস'র এক কমান্ডার বলেছেন, এই (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি এবং বিমানবাহী রণতরী ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সীমার মধ্যেই রয়েছে।
পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। এ হামলার জন্য যদি বিদ্রোহীরা দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কয়েকশো মাইল পথ উড়িয়ে নিতে হয়েছে হামলাকারী ড্রোনগুলোকে। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা এখন খতিয়ে দেখছেন হামলাগুলো চালানোর জন্য ড্রোনের পরিবর্তে উত্তর দিক থেকে ইরান কিংবা ইরাকে তাদের শিয়া মিত্রের ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ঘটেছে কিনা।
হামলার পরপর সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার কারণে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ৫৭০ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেকের সমান এটা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার