১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১০:১৯

ভারতে ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

প্রতীকী ছবি

ভারতের ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গতকাল বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে, গত বছর আগস্টে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ই-সিগারেটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই পরামর্শ মেনেই ই-সিগারেটের উৎপাদন, রফতানি, বিক্রি, বিজ্ঞাপন সব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত। 

সীতারামন বলেন, স্টাইলের জন্য নতুন প্রজন্মের অনেকে ক্ষতিকারক ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। সেই দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে, সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে ইদানীং সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরাও মানুষকে এটা ব্যবহার করা থেকে সতর্ক করছেন বারবার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলো থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়াও ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতিসূক্ষ রাসায়নিক কণা যা ভীষণই ক্ষতিকারক।

গত বছর ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ই-সিগারেট বা ওই জাতীয় দ্রব্যে ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের (কার্ডিওভাসকুলার) আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বা ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা সন্তানসম্ভবা, তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয় তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) দ্বারা অনুমোদিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তারা। জাপানের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর