মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে জাতিসংঘকে একহাত নিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
তিনি বলেছেন, ধনী দেশগুলোকে সন্তুষ্ট করতে তারা চাইছে জাতিসংঘ তা-ই করছে। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো করছে সংগ্রাম।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতার সমালোচনা করে মাহাথির বলেন, তারা বিশ্বে যুদ্ধ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
একই সঙ্গে কোনও দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ওপর আন্তর্জাতিক বৃহৎ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধে সব দেশকে জবরদস্তি করর মার্কিন চেষ্টারও তিনি সমালোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ৯৪ বছর বয়সী ওই স্পষ্টভাষী নেতা বলেন, আমরা জানি না, কোন আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়। তবে এটা ধনী ও প্রভাবশালীদের সুবিধা বলেই প্রতীয়মান হয়ে আসছে।
‘যদি আপনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান, তবে তাদের পরিচালনা করতে একটি আইন থাকা দরকার,’ বলেন মাহাথির।
তিনি বলেন, ঘটনা হচ্ছে- যখন কোনও দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, অন্যান্য দেশগুলোও সেই নিষেধাজ্ঞার খপ্পরে পড়ে যায়। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ একটি বড় বাজার হারিয়েছে।
কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞাকে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান থেকে তেল কিনলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যান্য দেশকেও শাস্তির হুমকি দিয়েছেন।
ইরানের আঞ্চলিক প্রভাবের লাগাম ধরতে দেশটির সঙ্গে বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ভাষণের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি স্বীকার করেন যে, মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর হাতে খুব কম বিকল্প আছে। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আঘাতের ভয়ে তাদের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত, বিশ্বটা একেবারে অসহায়।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/কালাম