বিগত ছয় বছরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হার। টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়া যে এভাবে পাল্টা আক্রমণ করবে নিউজিল্যান্ড, তা বোধহয় আঁচ করতে পারেনি ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে ৩৪৭ রান তুলেও হার। এরপর সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ২২ রানে হেরে খোয়াতে হল সিরিজটাও। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ হারে উদ্বিগ্ন নন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ম্যাচ শেষে কোহলি জানান, ‘চলতি বছর আমাদের কাছে ওয়ানডে ক্রিকেট ততটা প্রাসঙ্গিক নয়। তুলনায় টেস্ট এবং টি-২০ ক্রিকেট আমাদের কাছে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। তবে কঠিন মুহূর্তে কে কতটা চাপ সামলাতে প্রস্তুত, সেটাই উদঘাটন করার ছিল। এবং সেদিক থেকে আমরা ইতিবাচক দিকেই রয়েছি।’
দুই নিয়মিত ওপেনারকে ছাড়া সিরিজের ডু অর ডাই ম্যাচে গতকাল শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭৪ রানের লক্ষ্য নামে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু অভিজ্ঞ টিম সাউদির নেতৃত্বে শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে থাকে কিউয়ি পেস অ্যাটাক। অধিনায়ক কোহলির উইকেটসহ মাত্র ৪১ রানে ২ উইকেট তুলে নেন সাউদি। ব্যাট হাতে মূল্যবান ২৫ রান করার পর বল হাতে শুরুতেই পৃথ্বীকে বোল্ড করে স্বপ্নের অভিষেক হয় কাইল জেমিসনের। মাত্র ১০০ রানের ভিতর ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা ভারতের টপ ব্যাটিং অর্ডারে একমাত্র লড়াই করেন শ্রেয়াস আইয়ার।
কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার আউট হতেই ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। কিন্তু ১২৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সবাই যখন ধরে নিয়েছিল ভারতের হার শুধু সময়ের অপেক্ষা, ঠিক তখনই রবীন্দ্র জাদেজা ও নভদীপ সাইনির পার্টনারশিপে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। সপ্তম উইকেটে দু’জনের ৭৬ রানের পার্টনারশিপ প্রত্যাঘাত ছুঁড়ে দেয় কিউয়িদের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা দূরে থমকে যায় ভারতের ইনিংস। ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইনি। ৫৫ রান করেন জাদেজা।
তাই ম্যাচ এবং একইসঙ্গে সিরিজ হারতে হলেও ম্যাচ শেষে কোহলির গলায় জাদেজা-সাইনি ও শ্রেয়সের লড়াকু ইনিংসের প্রশংসা। কোহলি বলেন, ‘ব্যাট হাতে আমরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু জাদেজা এবং সাইনি দারুণ লড়াই করেছে। সঙ্গে শ্রেয়াসও। চাপের মধ্যেই কারা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারছে সেটাই দেখে নেওয়ার ছিল এবং সেক্ষেত্রে আমরা ইতিবাচক ফলাফলই পেয়েছি।’
হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা থাকলেও থাকলেও সিরিজের শেষ ম্যাচেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে সরবে না দল, ম্যাচ হেরে এমনটাই জানালেন ভারত অধিনায়ক। কোহলির কথায়, ‘আমাদের আর হারানোর কিছু নেই। তাই শেষ ম্যাচেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে সরবে না দল। ফলাফলের কথা না ভেবে আমরা আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলব।’ অর্থাৎ কোহলির কথা অনুযায়ী, সিরিজের শেষ ম্যাচে মনীশ পান্ডে, ঋষভ পন্তকে দেখে নিতে পারে ম্যানেজমেন্ট। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সিরিজের তৃতীয় তথা অন্তিম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ