আমেরিকা ২০১৮ সালের মে'তে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নজিরবিহীন অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই চলেছে। সম্প্রতি ওই কঠোর নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইরানের শিপিং কোম্পানিও।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের শিপিং কোম্পানি আইআরআইএসএল এবং চীনা শিপিং কোম্পানি ই-সেইলের ওপর ৮ জুন থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। আমেরিকা চীনা ওই শিপিং কোম্পানিকে ইরানের সহযোগী কোম্পানি বলে মনে করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার গত ৬ মাস আগে ইরানের শিপিং কোম্পানিসহ তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দীর্ঘ ১৮০ দিনের সময়সীমা শেষে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে।
পম্পেও তার বিবৃতিতে বলেছে, যেসব কোম্পানি এরপর থেকে আইআরআইএসএল এবং ই-সেইলের মাধ্যমে পণ্য স্থানান্তর করবে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্য দিয়ে আমেরিকা মূলত ইরানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রবেশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো।
অপরদিকে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ওপেকও সোমবার তেল ও অন্যান্য পণ্য পরিবাহী ১২৫ টি ইরানি জাহাজকেও 'গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা'র আওতায় এনেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা আসলে ভেনেজুয়েলায় ইরানি তেলের জাহাজ প্রবেশে বাধা দিতে অক্ষম হবার কারণেই এই নয়া নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। সেদিক থেকে বিচার করলে এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প সরকারের সামরিক ও রাজনৈতিক চরম ব্যর্থতারই প্রকাশ। ওয়াশিংটন আসলে এইসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তেহরানের ওপর থেকে নিজেদের ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে চায়।
বিডি-প্রতিিদিন/বাজিত হোসেন