দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতা মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছিলেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে এনকুরুনজিজা। মঙ্গলবার তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পিয়েরে এনকুরুনজিজার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। খবর এএফপি’র।
প্রেসিডেন্টের মৃত্যু নিয়ে দেশটির সরকারের এক অফিসিয়াল টুইটার বার্তায় বলা হয়, “গভীর শোকের সঙ্গে বুরুন্ডি সরকার জানাচ্ছে যে, ৮ জুন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে এনকুরুনজিজা।”
বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার বিকালে একটি ভলিবল ম্যাচ দেখার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট পিয়েরে নকুরনজিজাকে পূর্বাঞ্চলের কারুজি শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সাবেক এই বিদ্রোহী নেতা ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। খ্রিস্টান ধর্মপ্রেমী এনকুরুনজিজা তখন বলেছিলেন, পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে শাসনের জন্য ঈশ্বর তাকে বেছে নিয়েছেন।
২০১৫ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা ধরে রাখেন এনকুরুনজিজা। অবশ্য ওই সময় তার ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েনে সহিংসতায় অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। গৃহহীন হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ।
তাছাড়া বিরোধী মত ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে এনকুরুনজিজার সরকারের বিরুদ্ধে। আসছে আগস্টে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ছিল তার।
বুরুন্ডি বিশ্ব ব্যাংকের তালিকায় শীর্ষ দরিদ্র তিন দেশের মধ্যে অন্যতম। ২০১৫ সালে অসাংবিধানিকভাবে এনকুরুনজিজা ক্ষমতা ধরে রাখার পর থেকে দেশটির ওপর অনেক দাতা দেশ আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
চলমান করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে প্রেসিডেন্ট এনকুরুনজিজার বিরুদ্ধে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের খবর কমই পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ঈশ্বরই এই মহামারী থেকে বুরুন্ডিকে রক্ষা করছে।
এদিকে, ১০ দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এনকুরুনজিজার স্ত্রীকে কেনিয়ার নাইরোবির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অনেকের দাবি, প্রেসিডেন্ট হয়তোবা করোনা রোগেই মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম