টানা দুই সপ্তাহ ধরে নতুন কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত না হওয়ায় ৮ই জুন নিউজিল্যান্ড তাদের দেশে জারি করা প্রায় সব ধরনের লকডাউন তুলে নেয়।
২৫শে মার্চ লকডাউনে যাওয়ার সময় নিউজিল্যান্ডে চার ধাপের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা্ নেয়া হয় এবং চতুর্থ ধাপের লকডাউন জারি করা হয়, যেই ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় এবং মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়।
এখন ৫০ দিনের কড়া লকডাউনের পর তারা প্রথম ধাপে ফিরে গেছে এবং সেখানে মানুষের জীবনও প্রায় স্বাভাবিকের পর্যায়ে ফিরে গেছে।
যদিও এখনও বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধই রয়েছে, কিন্তু নতুন নিয়মে নাগরিকদের কোনো ধরনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে না এবং জনসমাগমের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই।
সরকারের এখন লক্ষ্য হলো অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং অর্থনীতির পুনর্গঠন।নিউজিল্যান্ডের লকডাউন তুলে নেয়ার পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় সেখানকার সাধারণ মানুষের উদযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আলোকচিত্রীরা।
টরাঙ্গা শহরের একটি কিউই ফল এবং অ্যাভোকাডোর প্যাকেটজাত করার কারখানায় লকডাউনের পর কাজে ফেরাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
নিউজিল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৪০ জন এবং মারা গেছেন মাত্র ২৬ জন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন