করোনা রুখতে দীর্ঘ তিন মাস লকডাউনের পর অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত ছাড়াও শেনঝেন এলাকার দেশগুলো এবং ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে স্পেন। তবে আপাতত পর্তুগালকে এই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সোমবার থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি।
এসব দেশের দর্শনার্থীদের স্পেনে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হবে না। তবে যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি সেসব এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব নয় বিধায় মাস্ক পরতে হবে।
চীনের পর বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে প্রথমদিকে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে এর মধ্যে স্পেন অন্যতম। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৪ মার্চ দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করে। কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। সংক্রমণ কমতে থাকলে ধীরে ধীরে তা শিথিল হতে শুরু করে।
স্পেন পর্যটন খাতের ওপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল দেশ। প্রতিবছর সাধারণত ৮ কোটি পর্যটক স্পেন ভ্রমণে যান। দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১২ শতাংশের বেশি আসে পর্যটন খাত থেকে। তাই সবার আগে সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়টি মাথায় ছিল সরকারের।
স্পেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৩২২ জন; ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন