শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:৪৫, বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ আপডেট:

'যদি পুতিন না থাকে, তাহলে রাশিয়াও থাকবে না'

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
'যদি পুতিন না থাকে, তাহলে রাশিয়াও থাকবে না'

'যদি পুতিন না থাকে, তাহলে রাশিয়াও থাকবে না।' ক্রেমলিনের এক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ দেশটির প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে তার মতামত জানালেন এভাবে। এটি যেন আসলে রাশিয়ার কোটি কোটি মানুষের চিন্তারই প্রতিধ্বনি। গত কয়েক দশক ধরে এরা ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভোট দিয়ে চলেছেন। কখনো প্রেসিডেন্ট পদে, কখনো প্রধানমন্ত্রীর পদে।

আগামী পহেলা জুলাই হয়তো পুতিনের প্রতি তাদের এই আস্থার নবায়ন ঘটবে পুরো দেশজুড়ে এক গণভোটের পর। রাশিয়ার সংবিধানে পরিবর্তন আনা হবে এই গণভোটের মাধ্যমে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও দুই বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন। রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ছয় বছর মেয়াদের জন্য।

মিস্টার পুতিনের বয়স এখন ৬৭ বছর। ২০২৪ সালে বর্তমান মেয়াদ শেষ হলে তিনি যে আবার প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন না, এমন কথা এখনো বলেননি। এর মানে হচ্ছে তিনি হয়তো ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন।

আজ (বুধবার) মস্কোর রেডস্কোয়ারে এক বিরাট সামরিক কুচকাওয়াজের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় এই গণভোট শুরু হতে যাচ্ছে।

ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং নাৎসী জার্মানীর পরাজয়ের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই বিরাট সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে।

মস্কোর এই চোখ ধাঁধাঁনো সামরিক কুচকাওয়াজের লক্ষ্য রাশিয়ায় মানুষকে দেশপ্রেমের গরিমায় উজ্জীবিত করা। এ জন্যে মস্কোর লকডাউন শিথিল করার সময়সীমা পর্যন্ত এক সপ্তাহ এগিয়ে এনেছেন সেখানকার মেয়র। সমালোচকরা বলছেন, এসব কিছুর লক্ষ্য আসলে গণভোটে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে পাল্লা ভারী করা।

কিন্তু কেন এই গণভোট?

প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গণভোটের প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন এ বছরের জানুয়ারিতে।

যেসব সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পুতিন যাতে আরও দুই বার ছয় বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন।

প্রথমে এই গণভোট হওয়ার কথা ছিল গত ২২শে এপ্রিল। কিন্তু তারপর করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে এটি পিছিয়ে দিতে হয়।

সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং এর নিয়মকানুনের কারণে এই গণভোট হবে পাঁচদিন ধরে। যেসব অঞ্চল এখন করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের কারণে খুবই সংকটে আছে, সেখানেও এই ভোট হবে।

কোন ভোটকেন্দ্রে গত ভোটার প্রবেশ করতে পারবেন, তার ওপর বিধিনিষেধ থাকবে। আর মস্কো সহ কোন কোন এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

পুতিনের পরিকল্পনাটা কী?

একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার মানুষ একজনকেই তাদের রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে দেখেছে: ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৯৯ সালে তাকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনিই আসলে রাশিয়ার সর্বময় ক্ষমতাধর নেতা। কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। ২০০০-২০০৮ পর্বে তিনি ছিলেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০০৮০-২০১২ সালে চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর পদে। তারপর ২০১২ সালে আবার ফিরে এলেন প্রেসিডেন্ট পদে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনো বলেননি যে, তিনি আবার নির্বাচনে দাঁড়াতে চান। কিন্তু তিনি প্রার্থী হবেন না, এমন কথাও বলেননি। এ কারণে সমালোচকরা বলতে শুরু করেছেন তিনি আসলে আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার ছক আঁটছেন। অন্তত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত।

তার সবচেয়ে সোচ্চার সমর্থকদের একজন হচ্ছেন সাবেক নভোচারী এবং এমপি ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা। তিনি মহাকাশে যাওয়া প্রথম নারী।

ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা প্রস্তাব দিয়েছেন, কেউ কতবার প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে পারবেন, সেই সীমা তুলে দিতে। যা আসলে ভ্লাদিমির পুতিনকে আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সুযোগ করে দেবে।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই প্রস্তাবের পক্ষে বেশ জনসমর্থন আছে বলেই মনে হয়। শেষবার যখন তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তিনি ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন।

বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা সারাহ রেইনসফোর্ড বলেন, এবার প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন একটা ভাব নিয়েছেন যেন মনে হয় তিনি এতে ঠিক রাজী নন, কিন্তু তৃণমূল পর্যায় থেকে এমন একটা দাবি উঠেছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথায় এমন একটা ইঙ্গিতও স্পষ্ট - রাশিয়া যেন এখনো তাদের প্রেসিডেন্ট পদে নতুন কাউকে দেখার জন্য প্রস্তত নয়।

সারাহ রেইনসফোর্ড বলেন, “এ নিয়ে আসলে অনেক মানুষের কোন সমস্যাই নেই। কারণ মিস্টার পুতিন তাদের অপছন্দের লোক হলেও তাকে আরও বেশিদিন ক্ষমতায় দেখতে তারা আপত্তি করবেন না। বহু মানুষ তাকে একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে দেখেন, যিনি পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন। আর এমন কথা নিয়মিতই শোনা যায় যে মিস্টার পুতিনের কোন বিকল্প নেই।”
পুতিন কিভাবে এত অপরিহার্য হয়ে উঠলেন?

বিগত শতাব্দীতে বিশ্বে স্নায়ু যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে ভ্লাদিমির পুতিনের উত্থানের শুরু।

১৯৮৯ সালে যখন বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটছে তখন তিনি তৎকালীন পূর্ব জার্মানীর ড্রেসডেনে কেজিবির একজন এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

পূর্ব ইউরোপ জুড়ে কমিউনিষ্ট বিরোধী গণবিপ্লবের মুখে যখন বার্লিন প্রাচীর এবং কথিত ‘লৌহ যবনিকা’ ধসে পড়লো, তখন তিনি বেশ বেকায়দায় পড়েছিলেন। এই ঘটনা তার মনে দুটি গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।

প্রথমতঃ গণঅভ্যুত্থানের প্রতি তার বিতৃষ্ণা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর মস্কোতে ক্ষমতার শীর্ষে শূন্যতা দেখা দিল।

পুতিন নিজে ক্ষমতার শীর্ষে এধরণের শূন্যতার একটি উদাহারণ দিয়েছেন।

১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে ড্রেসডেনে বিক্ষুব্ধ জনতা কেজিবির সদর দফতর ঘেরাও করেছিল। তখন তিনি সাহায্য চেয়ে মস্কোতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ছিলেন ‌‌‘একেবারে নীরব।’

তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন কেজিবির দফতরে রাখা সব কাগজপত্র নষ্ট করে ফেলবেন। পরে একটি বইতে পুতিন এ ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন: “আমরা এত কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলছিলাম যে এক পর্যায়ে চুল্লিটি বিস্ফোরিত হয়েছিল।”

পুতিনের জীবনী লেখক বরিস রেইটশুস্টার জার্মান নাগরিক। তার মতে, “পূর্ব জার্মানির সেই অভিজ্ঞতা যদি পুতিনের না থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা ভিন্ন এক পুতিনকে দেখতাম।”

ক্ষমতায় আরোহন

পূর্ব জার্মানি থেকে পুতিন ফিরে এলেন তার নিজ শহর লেনিনগ্রাডে। পরে এই শহরটি আবার তার পুরোনো নাম সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরে যায়। পুতিন সেখানে রাতারাতি শহরের মেয়র আনাতোলি সোবচাকের দক্ষিণ হস্তে পরিণত হন।

পূর্ব জার্মানিতে কমিউনিজমের পতনের পর পুতিন এবং তার সহকর্মীরা তাদের পুরোনো ভূমিকা হারালেন। কিন্তু নতুন রাশিয়ায় ব্যক্তিগতভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তারা বেশ সুবিধেজনক অবস্থানে ছিলেন।

পুতিনের উন্নতি হচ্ছিল বেশ দ্রুতগতিতে। লেনিনগ্রাডের যে মেয়রের সঙ্গে তিনি কাজ করতেন, সেই আনাতোলি সোবচাকেরও পতন ঘটলো। কিন্তু পুতিন টিকে গেলেন। রাশিয়ার নতুন এলিটদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুললেন তিনি।

লেনিনগ্রাড থেকে পুতিন গেলেন মস্কোতে। সেখানে রাশিয়ার নতুন সিক্রেট সার্ভিস এফএসবিতে তার উন্নতি ঘটতে থাকলো তর তর করে।

তখন রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন বরিস ইয়েলতসিন। তার প্রশাসন রাশিয়ার কমিউনিষ্ট পার্টিকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছিল। কারণ তিনি সফলভাবে রাশিয়ার নতুন গোষ্ঠীশাসকদের সঙ্গে জোট বাঁধতে পেরেছিলেন। রাশিয়ার সেই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এদের সামনে বিপুল সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জনের পথ খুলে গিয়েছিল।

বরিস বেরেজোভস্কির মতো ব্যবসায়ীরা বরিস ইয়েলতসিনের বড় সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হলেন। রাশিয়ায় যখন নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো, তখন এরা জনমতকে সাংঘাতিক প্রভাবিত করতে পারতেন।

১৯৯৯ সালে প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলতসিন পুতিনকে তার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করলেন।

রাশিয়ার আচমকা প্রেসিডেন্ট

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইয়েলতসিন তখন ক্রমেই অদ্ভূত আচরণ করছিলেন। ১৯৯৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তিনি হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। বেরেযোভস্কি এবং অন্যান্য অলিগার্ক বা গোষ্ঠীপতিদের সমর্থনে ভ্লাদিমির পুতিন তখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার জন্য বেশ সুবিধেজনক অবস্থানে। দায়িত্বটা তিনিই পেলেন।

২০০০ সালের মার্চে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে জিতে পাকাপাকিভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বনে গেলেন।

এতদিন যে গোষ্ঠীপতি আর সংস্কারবাদীরা বরিস ইয়েলতসিনকে ঘিরে ছিলেন, তারাও মনে হলো নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সন্তুষ্ট। তারা ভেবেছিলেন, প্রায় অচেনা এই লোকটি প্রেসিডেন্ট হওয়ার তাকে তারা নিজেদের ইচ্ছেমত পরিচালনা করতে পারবেন।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যেই পুতিন রাশিয়ার গণমাধ্যমের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন। এটি ছিল তার শাসনামলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানো এক ঘটনা। ক্রেমলিনের প্রাচীনপন্থী থেকে শুরু করে নতুন গোষ্ঠীপতি কেউই এরকমটা ঘটবে বলে আঁচ করতে পারেন নি।

পুতিনের শাসনামল কেমন হবে, সেটা যেন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।

ভিন্নমতের কন্ঠরোধ

গণমাধ্যমের ওপর এই নিয়ন্ত্রণ নতুন প্রেসিডেন্টকে দুই রকমের সুবিধা দিল।

প্রথমত, তিনি প্রভাবশালী সমালোচকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো থেকে সরিয়ে দিতে পারলেন।

দ্বিতীয়ত, তখন রাশিয়ায় যা ঘটছিল, চেচনিয়ার যুদ্ধ থেকে শুরু করে মস্কোতে সন্ত্রাসবাদী হামলা- সেসব ঘটনায় সরকারি ভাষ্যকেই একমাত্র বয়ান হিসেবে হাজির করতে পারলেন।

রাশিয়ার পুতিনের জনপ্রিয়তাও বাড়ছিল। সরকারি ভাষ্যে নতুন রাশিয়া এবং তার নেতার বেশ বলিষ্ঠ এক ভাবমূর্তি তুলে ধরা হচ্ছিল। রাশিয়ার নতুন শত্রু কারা, সেটাও স্পষ্ট করে দেয়া হচ্ছিল এসব বয়ানে।

তারপর থেকে আজ পর্যন্ত রাশিয়ার মানুষ সেটাই এখন দেখে, যেটা পুতিন তাদের দেখাতে চান। রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজারের মতো টেলিভিশন চ্যানেল আছে। বেশিরভাগ চ্যানেলেই সংবাদ বলে কিছু দেখানো হয় না। আর যদি কোন রাজনৈতিক খবর দেয়াও হয়, সেটা কঠোর সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর।

‌‌'আমাকে ঘাঁটাতে এসো না‌’: প্রদেশগুলোর প্রতি হুমকি

ভ্লাদিমির পুতিন এরপর ক্রমান্বয়ে রাশিয়ার ৮৩টি অঞ্চলে তার পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেন। প্রত্যেকটি প্রদেশে তিনি কেবল তার বিশ্বস্ত লোকদেরই গভর্নর নিযুক্ত করলেন।

২০০৪ সালে তিনি গভর্নরদের আঞ্চলিক নির্বাচনের ব্যবস্থা বিলোপ করলেন। এরপর নিয়ম করা হলো, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যরা তিনজন প্রার্থী থেকে একজন গভর্নর বেছে নেবেন।

সমালোচকরা এই বলে শোরগোল করছিলেন যে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার কৌশল বেশ কাজে দিল, বিশেষ করে চেচনিয়ার মতো অঞ্চলে।

২০১২ সালে আঞ্চলিক নির্বাচনের ব্যবস্থা কিছুদিনের জন্য ফিরিয়ে আনা হয়েছিল গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভের মুখে। কিন্তু ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ প্রেসিডেন্ট পুতিন আবার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন। সেখানে আঞ্চলিক পরিষদের আইন তৈরির ক্ষমতা সীমিত করে দেয়া হলো।

উদারনৈতিকতার ভান

২০১১ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মস্কো এবং অন্য কিছু এলাকায় বেশ কিছু গণবিক্ষোভ চলেছিল। বিক্ষোভকারীরা গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছিল।

১৯৯০ এর দশকের পর রাশিয়ায় এত বড় গণবিক্ষোভ আর দেখা যায়নি।

তখন আরব বসন্ত শুরু হয়ে গেছে। রাশিয়ার প্রতিবেশি কিছু দেশেও ঘটে গেছে গণবিপ্লব। এসব ঘটনা যেন পুতিনকে ১৯৮৯ সালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছিল।

ভ্লাদিমির পুতিন এসব গণবিক্ষোভকে দেখছিলেন ভিন্ন আলোকে। তার মতে, এসব আসলে রাশিয়ার আশে-পাশের অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলোর ঘাঁটি গেড়ে বসার চক্রান্ত।

লোক দেখানোর জন্য হলেও তখন রাশিয়ায় সরকার পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন আনার দরকার ছিল। তখন পুতিন স্বল্প সময়ের জন্য উদারনৈতিকতা নিয়ে পরীক্ষা চালালেন। রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং বিভিন্ন অঞ্চলকে তাদের অর্থনীতির ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়া।

এ সময় পুতিনের প্রতিটি ভাষণে ‘সংস্কার’ শব্দটি বেশ ঘন ঘন শোনা যেত। কিন্তু এটি ছিল বেশ স্বল্পস্থায়ী। যেই মূহুর্তে হুমকি অপসারিত হলো, প্রেসিডেন্ট পুতিন তার কৌশল পরিত্যাগ করলেন।

ক্রাইমিয়ায় শক্তি প্রদর্শন

ইউক্রেনে বিপ্লবের পর দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে এক কৌশলগত সুযোগ হাজির করলো।

২০১৪ সালে বিদ্যুৎ গতিতে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করে নিল। এটি ছিল প্রেসিডেন্ট পুতিনের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় বিজয় আর পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য এক অবমাননাকর পরাজয়।

একটি প্রতিবেশী দেশের একটা অঞ্চল দখল করে নিয়ে রাশিয়া তার শক্তি দেখিয়ে দিল, কিন্তু বাকী বিশ্ব রাশিয়াকে থামাতে কিছুই করতে পারলো না।

আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে রাশিয়া যদি তার ইচ্ছেমতো কিছু করতে চায়, তাকে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো সুপারপাওয়ার হতে হবে এমন কোন ব্যাপার নেই। পশ্চিমা দেশগুলো আর নেটোর কাজে বাগড়া দেয়ার মতো শক্তি রাশিয়ার আছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কী হবে, সেটা রাশিয়ায় ঠিক করতে পারে এবং পুতিন সেটাই করা শুরু করলেন।

ক্রাইমিয়া ছিল রাশিয়ার তরফ থেকে সবচেয়ে বড় আঘাত, কিন্তু এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না।

বহু বছর ধরে প্রেসিডেন্ট পুতিন একটা কৌশল নিয়ে আগাচ্ছিলেন, যার লক্ষ্য সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে স্বাধীন হওয়া দেশগুলোকে আবার রাশিয়ার রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসা। রাশিয়া এসব দেশের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো তাদের সহজাত অধিকার বলে গণ্য করে। ২০০৮ সালে জর্জিয়ার সংঘাতে রাশিয়া সেটা দেখিয়ে দিল।

সিরিয়া: পশ্চিমা দেশগুলোর দুর্বল জায়গা

পশ্চিমা দেশগুলো তাদের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে যে একসঙ্গে কোন অবস্থান নিতে পারেনি, সেই দুর্বলতার সবচেয়ে বড় সুযোগ নিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই দুর্বলতাকে তিনি রাশিয়ার জন্য জন্য চমৎকার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগালেন।

সিরিয়া প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনীর সমর্থনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অনেক রকমের সুবিধে দিয়েছে।

একদিকে এটি নিশ্চিত করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য একটি অঞ্চলের ওপর একপক্ষের যে সার্বিক নিয়ন্ত্রণ দরকার, সেটা কেউ পাবে না। অন্যদিকে এটি রাশিয়াকে তাদের নতুন অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক কৌশল পরীক্ষারও একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

রাশিয়ার ঐতিহাসিক মিত্রদের কাছে এটি একটি বলিষ্ঠ বার্তাও পাঠিয়েছে। বিশেষ করে নিকট প্রতিবেশি দেশগুলোকে। সেটা হচ্ছে, রাশিয়া তার পুরনো বন্ধুদের ভুলে যায় না, বিপদে তাদের পাশে থাকে।

রাশিয়ার নতুন জার?

পুতিন তার শাসনামলে রাশিয়ায় একটা পুরনো ধারণার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন। এটিকে বলা হয় ‘কালেক্টর অব রাশিয়ান ল্যান্ডস‌’। এটি একটি সামন্ততান্ত্রিক ধারণা, যেটি রাশিয়ার সম্প্রসারণবাদী নীতি সমর্থন করে।

এই ধারণার আলোকে এটা বোঝা সহজ, কেন ক্রাইমিয়া এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশী রাশিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ।

আর্কাডি অস্ত্রোভস্কির মতো কিছু রুশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, এটি রাশিয়ায় আধুনিক কালের ‘জার‌’ প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিতে পারে। রুশ ইতিহাসে ‘জার’কে দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে বিবেচনা করা হয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন যে সর্বশেষ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেটিতে যেন তারই ইঙ্গিত।

এখন পর্যন্ত রাশিয়ার রাজনীতিতে ভ্লাদিমির পুতিনের অবস্থান প্রশ্নাতীত বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বর্তমান চতুর্থ মেয়াদ যখন ২০২৪ সালে শেষ হয়ে যাবে, তারপর কি?

ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন একটা পরিকল্পনা নিশ্চয়ই ঠিক করে রেখেছেন! সূত্র : বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান
ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ ফি বাড়ানোর নির্দেশ ট্রাম্পের
বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ ফি বাড়ানোর নির্দেশ ট্রাম্পের
বোমার আঘাতে ১০ বার গৃহহারা, শেষ আশ্রয়েই খুন হন বাবা ও ভাই
বোমার আঘাতে ১০ বার গৃহহারা, শেষ আশ্রয়েই খুন হন বাবা ও ভাই
পাকিস্তানে ভবন ধসে প্রাণ গেল ৫ জনের
পাকিস্তানে ভবন ধসে প্রাণ গেল ৫ জনের
প্রথম নারী সভাপতি পেতে পারে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি
প্রথম নারী সভাপতি পেতে পারে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি
তিব্বত ইস্যুতে ভারতকে নাক গলাতে মানা করল চীন
তিব্বত ইস্যুতে ভারতকে নাক গলাতে মানা করল চীন
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান
ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন
বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন
বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু
চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান
মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত
হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪
বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ
টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০
গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো
বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে
এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জিরো টলারেন্সে বিএনপি
জিরো টলারেন্সে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন
রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন

নগর জীবন

হত্যা করলেই মিলত টাকা
হত্যা করলেই মিলত টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!
আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য
মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল
শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি
ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি

নগর জীবন

২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি
২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি

শনিবারের সকাল

চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া
চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

আটকে গেল চার বিমানবন্দর
আটকে গেল চার বিমানবন্দর

প্রথম পৃষ্ঠা

মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল
মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’
নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

নগর জীবন

জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা
জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা

মাঠে ময়দানে

দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা
ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা

শনিবারের সকাল

ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা
ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা

শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের
হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের

মাঠে ময়দানে

টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন
টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত
ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা- শিবলী সাদিক
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা- শিবলী সাদিক

শোবিজ

রানের দেখা নেই লিটনের
রানের দেখা নেই লিটনের

মাঠে ময়দানে

উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ
উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ

মাঠে ময়দানে

আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা
আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘরে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
ঘরে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

দেশগ্রাম

মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল

সম্পাদকীয়

আগুনে পুড়ল ৪২ দোকান
আগুনে পুড়ল ৪২ দোকান

দেশগ্রাম

জাপানের কাছে হেরে শুরু মেয়েদের
জাপানের কাছে হেরে শুরু মেয়েদের

মাঠে ময়দানে