সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে চীন। করোনা পরিস্থিতিতে যখন বিশ্বের প্রায় সব দেশ কাবু তখন তার ফায়দা তুলছে বেইজিং। ভারতও যে চিনার লোলুপ শিকারের থেকে বাদ পড়েনি, সেই কথাও জানিয়ে দিলেন মার্কিন কূটনীতিক ডেভিড স্টিলওয়েল।
ডেভিড স্টিলওয়েল হলেন পম্পেও'র মন্ত্রালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলের অ্যাসিটেন্ট সেক্রেটারি। তিনি ৩৫ বছর মার্কিন বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০১১-১৩ সাল নাগাদ চীনের মার্কিন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। তাই চীনের আগ্রাসন নীতি সম্পর্কে বেশ অবগত তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশগুলির উপর চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে স্টিলওয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চীন। ভারত-চীনের বিবাদ তার অন্যতম উদাহরণ।
গত ২৯ অগস্ট রাতে চীনা সেনারা অতর্কিতভাবে ভারতে ভূখণ্ডে ঢোকার যে প্রচেষ্টা চালায়। তারপর থেকেই নতুন করে লাদাখের প্রকৃত সীমান্তরেখায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণে দুই দেশেরই সেনা বিন্যাস করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শান্ত করতে কম্যান্ডার স্তরে আলোচনা চালাতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। প্রকৃত সীমান্ত রেখায় স্থিতাবস্থা ভেঙে চীনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপের এক হাত নিয়েছেন স্টিলওয়েল। তার অভিযোগ, এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলির উপর করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে চীন।
কয়েক দিন আগে চীনের এই কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মার্কিন স্টেট অব সেক্রেটারি মাইক পম্পেও। শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার বার্তা দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত মে মাসে গালওয়ান উপত্যাকায় চীন-ভারতের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা মারা যান। ৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এত বড় সংখ্যক ভারতীয় সেনার মৃত্যু নজিরবিহীন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
