বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। পার্শ্ববর্তী দেশ ইরানে গিয়ে আঘাত হানছে দুই দেশের যুদ্ধের মিসাইল। যুদ্ধের গোলাবারুদ ইরানের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে পড়ছে। এতে নানা শংকায় পড়েছেন ইরানের নাগরিকরা। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ শনিবার বলেছেন, কোনো পক্ষের আঘাতই ইরানের সীমানায় সহ্য করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইরানের সীমানা লঙ্ঘনের বিষয়ে উভয় পক্ষকেই আমরা কঠোরভাবে সতর্ক করে দিচ্ছি। তাদেরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইরানের স্থলসীমা রয়েছে দু'টি দেশের সঙ্গেই। গত সপ্তাহে দুই দেশের যুদ্ধের মিসাইল গিয়ে আঘাত হেনেছে ইরানের আর্মেনীয় সীমান্তবর্তী খোদা আফারিন কাউন্টির মোহাম্মদ সালেহলু গ্রামের কাছে। আবাসিক এলাকার একেবারে কাছেই মিসাইলগুলো পড়লেও কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। গত বুধবার চতুর্থতম মিসাইল আঘাত হানে ওই এলাকায়। আজারবাইজান নাকি আর্মেনিয়া এ মিসাইলগুলো ছুড়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে ছোড়া তিনটি মিসাইল পড়ে অনাবাসিক এলাকায়। সেখানেও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজারবাইজানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সংঘাতের অবসান এবং সংলাপের ওপর গুরুত্ব দেন। খাতিবজাদেহ বলেন, এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে ইসলামি ইরান প্রস্তুত রয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। তবে নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দু’টির মধ্যে বিরোধ বাধে। এ নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৯৪ সালে অঞ্চলটি দখলে নিয়ে নেয় আর্মেনিয়া। যদিও নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলটি এখনও আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার