সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। আর তাতেই ঘুম উড়েছে চীনের। মঙ্গলবার ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চীন কার্যত সমালোচনার সুরে জানায়, সীমান্তে ভারতের ক্রমাগত নির্মাণ কাজ করে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছে না তারা। বেইজিং এদিন জানিয়েছে ভারতের এই পদক্ষেপ সীমান্তের উত্তাপ বাড়াচ্ছে। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে এই ধরণের কাজে।
১২ই অক্টোবর কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশের সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৪৪টি ব্রিজের উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশও ছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই কৌশলী পা ফেলছে ভারত। খুব ধীরে হলেও প্রস্তুতি সারছে চীনা সেনার মোকাবিলার। লাদাখে সেই লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক ব্রিজ। যাতে খুব কম সময়ে ট্রুপের মুভমেন্ট ঘটানো যায়। গোটা ভারতে ছড়িয়ে থাকা ৪৪টি ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এর মধ্যে ৮টি ব্রিজ তৈরি হয়েছে লাদাখে।
এই বিষয়টাই হজম হচ্ছে না চীনের। ভারতকে লক্ষ্য করে সমালোচনার তির ছুঁড়েছে চীন। তাদের দাবি অবিলম্বে সীমান্তে নির্মাণ কাজ বন্ধ করুক ভারত। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির এই অবস্থায় ভারতের ভূমিকাতে চীন হতাশ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। সোমবার অর্থাৎ ১২ই অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলো রয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে ১০টি, লাদাখে ৮টি, হিমাচল প্রদেশে ২টি, পাঞ্জাবে ৪টি, উত্তরাখণ্ডে ৮টি, অরুণাচল প্রদেশে ৮টি ও সিকিমে ৪টি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের কার্গিল ও লেহতে চারটি এমন এলাকায় ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে, যা কৌশলগত ও অবস্থানগত দিক থেকে সেনা যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণরেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে যাতে পৌঁছনো যায়, সেদিকে লক্ষ্য করে ব্রিজগুলো তৈরি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, লাদাখ অঞ্চলে আরও ৪৫টি ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআরওর ব্রিগেডিয়ার অরবিন্দর সিং সোধি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক