সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সাথে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক চুক্তির দিনটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর'। তবে জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা বাহরাইন এ নিয়ে কোনও সমালোচনা শুনতে রাজি নয়। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। বাহরাইনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে কাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়ার এমন অ্যাকাউন্টগুলোকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ ছড়ানো হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আরব আমিরাত ও বাহরাইনের আগে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া দেশ ছিল শুধুমাত্র মিশর ও জর্ডান, যারা ১৯৭৮ ও ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছিল। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় আরব লিগের সদস্য মৌরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ২০১০ সালে সম্পর্কচ্ছেদ করে।
এখন দেখার বিষয় উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কি না। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা এ ধরণের কোনো চুক্তি করতে প্রস্তুত নয়। এই চুক্তির ফলে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে হওয়া পারস্পরিক সম্পর্কের জের ধরে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আসতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক