২৫ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:৩১

তালেবান নয়, কাবুলে হামলার দায় নিল আইএস; নিহত বেড়ে ২৪

অনলাইন ডেস্ক

তালেবান নয়, কাবুলে হামলার দায় নিল আইএস; নিহত বেড়ে ২৪

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে শনিবার ভয়ানক এক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫৭ জন। হতাহতরা অধিকাংশই পড়ুয়া বলে জানা গেছে। শনিবার বিকেলে এই হামলা হয়। যে শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে হামলা হয়েছে, সেখানে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান জানান, সুইসাইড বোম্বার শিক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিল। কিন্তু, সেন্টারের রক্ষীদের সন্দেহ হওয়ায় আটকে দেয়। তারপরেই বিস্ফোরণ ঘটায় ওই আত্মঘাতী বোমারু। শনিবার রাত পর্যন্ত সরকারিভাবে ১৮ জন নিহত, ৫৭ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার সকালে আরও ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতে কাতারে তালেবানদের সঙ্গে নিয়মিত শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তার মধ্যেই এদিন রাজধানীতে এই হামলার ঘটনা। তালেবানরা এদিনের হিংসার দায় নিতে অস্বীকার করে। তবে, শনিবার রাতে বিবৃতি দিয়ে হামলার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট গ্রুপ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যানেলে এক বিবৃতি আইএস জানায়, কাবুলে লোকের ভিড়ের মধ্যে গিয়ে বিস্ফোরক জ্যাকেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী বোম্বার। আলি রেজা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের পর চারপাশ ঘন ধোঁয়া-ধুলোয় ঢেকে যায়। তাঁর দাবি, বিস্ফোরণে হতাহতরা সকলেই পড়ুয়া। তারা শিক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তিনি নিজেও বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে ছিলেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তিনিও পড়ে গিয়েছিলেন।

বিস্ফোরণে হতাহতরা সকলেই শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের। আইএসের সুন্নি উগ্রপন্থরী প্রায়ই শিয়াদের টার্গেট করে। অতীতেও একাধিক বার শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকে নিশানা করেছে জঙ্গিরা। গত মে মাসে পশ্চিম কাবুলের এক হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল সশস্ত্র জঙ্গিরা। যার জেরে একাধিক প্রাণহানি হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত মারা পড়ে ওই বন্দুকবাজেরা। সূত্র : এই সময়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর