মার্কিন সরকার চলমান করোনা পরিস্থিতিতেও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। এর মধ্যে বাইরের দেশ থেকে ইরানে ভ্যাকসিন আমদানি না করার ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে সরে যাবার মাত্র ছয় দিন আগে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় ইরানের দুটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই দুটি প্রতিষ্ঠান ইরানের অর্থনীতির বৃহৎ অংশের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন ফাউন্ডেশন দু’টির নেতারা ও তাদের সহযোগীরা।
এছাড়া, তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং যারা এইসব ফাউন্ডেশনের সঙ্গে লেনদেন করবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। গত আড়াই বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে মানবিক বিষয়ের প্রতি কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ করেনি।
এবারো তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যারা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি ও গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এনবিআর টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক জ্যাকি নোরতান বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে এবং এমনকি দেশটির স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন থেকে করোনা ভ্যাকসিন আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ওয়াশিংটন ও লন্ডন অস্থির হয়ে পড়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার এ ঘোষণার মাধ্যমে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক