টানা বৃষ্টিপাত, মেঘভাঙা বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছে ভারতের হিমাচল প্রদেশ। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় এসব দুর্যোগে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজ্যটির মান্ডি, কাংরা, চাম্বা, শিমলা, বিলাসপুর, হামিরপুর, কিন্নর, কুল্লু, লাহুল স্পিতি, সিরমাউর, সোলান ও উনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যদিও স্থানীয় প্রশাসনের মতে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা মান্ডিতে মারা গেছেন ১৭ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিশেষ সচিব ডি.সি. রানা বলেন, “আমরা আপাতত জীবন রক্ষায়, উদ্ধারকাজে ও পুনর্গঠনে মনোযোগ দিচ্ছি। ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করতে কিছুটা সময় লাগবে।”
চলমান দুর্যোগে রাজ্যজুড়ে ৫০০টির বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, ৫০০টিরও বেশি বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার অচল হয়ে পড়েছে এবং হাজারো মানুষ বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে রয়েছেন। তৈরি হয়েছে খাদ্য সংকটও, যা আরও বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।
এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩০০ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ১৬৪টি গরু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, কাদামাটির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর, মানুষ পালাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে। এর ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক