মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে একমত পোষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন চীনকে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের স্বার্থ রক্ষায় ওয়াশিংটন ও চীন একসঙ্গে কাজ করবে।
গত শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচির এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এর সঙ্গে ফোনালাপ হয়। ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চীন বিভিন্ন অপচেষ্টা চালিয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করছে। এসব কাজের জন্য সম্পূর্ণভাবে চীনকে দায়ী করবে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ব্লিনকেন। তিনি আরও বলেছেন,'শিনচিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুরদের ওপর চীন ‘গণহত্যা চালাচ্ছে'। মানবাধিকারগোষ্ঠীগুলোর তথ্যমতে, উইঘুর সম্প্রদায়ের ১০ লাখের বেশি মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ফোনালাপে হংকং ইস্যুও তুলে এনে ব্লিনকেন বলেন, 'চীন বিতর্কিত আইনকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ওপর অনিয়ন্ত্রিত হামলা চালিয়ে অগণিত অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে'। এছাড়াও, ব্লিনকেন যুক্তরাষ্ট্র শিনচিয়াং, তিব্বত ও হংকংসহ অন্যান্য জায়গায় মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সমর্থনে কাজ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ শেষে টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি তাদের (চীনকে) এটি স্পষ্ট করে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে, নিজেদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখতে কাজ করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেইজিংয়ের বিভিন্ন অপকর্মের কৈফিয়ত দিতে চীনকে বাধ্য করবে।’
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির