চীন ও রাশিয়ার মধ্যবর্তী দেশ হিসেবে মঙ্গোলিয়া গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশ হিসেবে কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি জায়ান্ট 'গাজপ্রম' মঙ্গোলিয়ায় 'গাজোপ্রভোদ সোয়ুজ ভোস্টক' নামে একটি সহায়ক সংস্থা চালু করেছে।
এছাড়াও বাফার অঞ্চল হিসেবে মঙ্গোলিয়া অতিদ্রুত মস্কোর প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এর সাথে সম্পর্কিত সরবরাহ চেইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মঙ্গোলিয়ায় অর্থনৈতিক উপস্থিতি বাড়াতে লড়াই করবে রাশিয়া।
মঙ্গোলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মস্কো সফর করেছেন। সেখানে তিনি গাজপ্রম ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মস্কোতে তার সফরের আগে ওলানবাটারে স্থানীয় দুই জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট অফিসারকে রাশিয়ার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করার কারণে ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
তারপরেও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হয়নি। নভেম্বরেই দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের শতাব্দি উদযাপন করবে। সবমিলিয়ে মঙ্গোলিয়া বেশ লাভজনক অবস্থানে রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্র: এশিয়া টাইমস
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির