সম্প্রতি ২০২০ সালে জারি হওয়া গৃহ নির্যাতন বিলসংক্রান্ত আইনটি স্থগিত করেছে দ্য কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডোলজি (সিআইআই)। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহেই সিআইআই-এর মতামত মানবাধিকার মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছিল।
বিলটির বেশ কয়েকটি বিধানের বিষয়ে তারা আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিল। কারণ এ আইনটি ইসলামী সাংবিধানিক সংস্থাকে আগে পর্যালোচনা করতে হবে এবং এর ফলাফল পাকিস্তান সরকারকে দিতে হবে।
জাতীয় সংসদে (এনএ) উপস্থাপনের পরে সিআইআই বিলটি ২০২০ সালের নভেম্বরে পর্যালচনা করেছিল। এই বিলটি বর্তমানে এনএ সচিবালয়ের কাছে রয়েছে। সিনেটের সংশোধিত সংশোধনীগুলো অনুমোদনের জন্য এবং আইন কার্যকর করার জন্য জাতীয় সংসদের সামনে এটি আবারও উপস্থাপন করা হবে।
সিনেটে পাস হওয়ার পরে, বিলটি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) আমির সিরাজুল হক, সিনেটর মোশতাক আহমদ এবং ফজল-উর-রেহমানের জামিয়াতে উলামায়ে ইসলামসহ সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতাসহ অনেকের মধ্যে মারাত্মক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। জেআইআই-এফ- সিনেটর আতা-উর-রেহমান, ধর্মীয় গুরু এবং আলেমরা তখন এ বিল নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন এবং এটিকে অত্যন্ত আপত্তিকর বলে অভিহিত করেছিলেন।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইমরান সরকার, মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিলটি সিআইআই-এর কাছে প্রেরণের দাবি করেছিল, কারণ এর বেশ কয়েকটি বিধান ইসলামের শিক্ষার বিপরীত বলে বিবেচিত হয়েছিল। জনগণের চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা বাবর আওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের কাছে আবেদন করেন এবং বিলটি সিআইআই-এর কাছে পাঠানোর জন্য বলেন।
বাবর আওয়ান ইমরান খানের নির্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন, চিঠিতে তাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি 'অইসলামিক বিধান' সম্পর্কেও তখন বলা হয়েছিল। সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবারও এ বিলের বিষয়টি সিআইআই-র কাছে প্রেরণ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। যদিও জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছ থেকে সিআইআই এখনও এই বিষয়ে কোনো রেফারেন্স অর্জন করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) স্টেট অব হিউম্যান রাইটস-এর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে দেশটিতে নারীদের দুর্দশার বিষয়টি উদ্বেগজনকভাবে উঠে আসে। এইচআরসিপি নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিভিন্ন ধরনের কথা তুলে ধরে, যার মধ্যে যৌন নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতা রয়েছে। প্রতিবেদনে এইচআরসিপি গৃহ নির্যাতন এবং এই জাতীয় মামলার ডিজিটাল সংস্করণের কথা বলে। সূত্র : এএনআই
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির