আফগানিস্তানে আবার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে তালেবান। এরই মধ্যে তালেবান আগ্রাসনের কারণে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষাধিক আফগানিস্তানের মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। এছাড়া ৩৭৫টি জেলার মধ্যে ২০০ জেলাতেই তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে আফগান বাহিনী।
একইসঙ্গে তালেবানের কারণে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও ইরানের মতো বেশ কয়েকটি দেশের ১৮টি সীমান্তবর্তী জেলাতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরই দেশের বিভিন্ন অংশে তালেবানী নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়।
তালেবানের একটি উগ্রপন্থী দল শুক্রবার দাবি করে যে, বর্তমানে আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশই তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমেরিকা বা তার সহযোগী বিশ্বের কোন দেশকেই আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
এই বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির প্রভাব পাকিস্তানেও পড়তে পারে, তবে তা মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেশ। কেবল আফগানিস্তানের শান্তি চুক্তির সমন্বয়কারী হিসাবে দায়বদ্ধ নয় পাকিস্তান। আফগানিস্তানকে নিজস্ব নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন যে, আফগানিস্তানে বিগত ২০ বছর ধরে চলা আমেরিকার সামরিক মিশন ৩১ অগস্টের মধ্যে শেষ হবে এবং সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এদিকে, চীন বলছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা সঙ্কটের জন্য দায়ী আমেরিকাই।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা তার দায়িত্ব থেকে পালাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমেরিকা আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমেরিকাই।
সূত্র : টিভিনাইন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক