হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস গত ৭ জুলাই আততায়ীদের হাতে নিহত হন। সেই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে। এমন দাবি করেন দেশটির চিফ প্রসিকিউটর বেড-ফোর্ড ক্লড।
আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেসিডেন্টকে হত্যার দিন প্রধান সন্দেহভাজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন হেনরি- এমন তথ্য উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর। এর ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করতে বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
বেড-ফোর্ড ক্লড দাবি করেন, হেনরির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য এবং সরাসরি অভিযোগের জন্য যথেষ্ট উপাদান রয়েছ।' তবে এ বিষয়ে হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও এবার সেই প্রসিকিউটরকেই বরখাস্ত করা হলো।
প্রধানমন্ত্রীকে শাস্তি দিতে গিয়ে এখন নিজেই বরখাস্ত! এক চিঠিতে বেড-ফোর্ড ক্লাউডেকে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি লিখেছেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আপনাকে আপনার (প্রসিকিউটরের) পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাইতির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের অনুমতি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় না। দেশে এখন কোনো প্রেসিডেন্ট নেই, তাই সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও সম্ভব নয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক