পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রতি পূর্ণ প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটে এ কথা বলা হয়েছে।
ইমরান খানের সরকারের পতনের পর অভিযোগ ছিল সেনাবাহিনী সবকিছুর পিছনে কলকাঠি নাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সেনাবাহিনীর বিরূপ সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে। এর পর সেনাবাহিনী জানায়, বর্তমান নেতৃত্বের ‘সংবিধান ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখার জন্য সুবিবেচিত অবস্থানের’ প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছে।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে-জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে ৭৯তম ফরমেশন কমান্ডার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সব ফরমেশন কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চিফ অব স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
নোটে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অপমান করতে এবং রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরির উদ্দেশে কিছু মহল সম্প্রতি অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি ফোরামে আলোচনায় এসেছে।’
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পবিত্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বদা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাহারায় সব সময়ই থাকবে। এ ক্ষেত্রে কোনো আপস করবে না।’
ফোরামে যেকোনো মূল্যে সংবিধান ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে নেতৃত্বের সুবিবেচিত অবস্থানের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানানো হয়।
সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সমালোচনা তীব্র হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এবং এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলছে।
গত রবিবার ইমরান খানের সমর্থনে দেশব্যাপী বিক্ষোভের সময়ও সেনাবাহিনীর সমালোচনামূলক স্লোগানও উচ্চারিত হয়।
সূত্র: ডন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন