রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জেরে পশ্চিমা দেশগুলোতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে জ্বালানি বাজারে। এরই মধ্যে রুবলে মূল্যা পরিশোধে রাজি না হওয়ায় পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় গ্যাস প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
তবে এই সমালোচনার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল নতুন খবর, তা হল নিষেধাজ্ঞার কারণে অস্থিরতার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবিমত রুবলেই দেশটির গ্যাসের দাম শোধ করেছে চার ইউরোপীয় ক্রেতা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রমের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র একথা জানিয়েছে।
গোপনীয়তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুশ সূত্রটি বলেছে, আরও কোন ক্রেতা ক্রেমলিনের শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও মে মাসের মাঝামাঝির আগে নতুন করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সম্ভাবনা নেই।
মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে পরবর্তী অর্থ পরিশোধের পালা আসবে।
গাজপ্রম-ঘনিষ্ঠ সূত্রের ভাষ্য, রাশিয়ার শর্তে অর্থপ্রদানের দাবি মেটাতে দশটি ইউরোপীয় কোম্পানি ইতোমধ্যেই গ্যাজপ্রমব্যাংকে হিসাব খুলেছে। রুবলে মূল্য পরিশোধ করার জন্য গাজপ্রমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়াকে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাজপ্রমের কথা হচ্ছে, এ প্রক্রিয়া রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে না। আকারে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং জ্বালানিরও অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক রাশিয়া ইউরোপের ২৩টি দেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য ইইউ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরে মস্কো ১ এপ্রিল থেকে গ্যাস সরবরাহের জন্য রুশ মুদ্রা রুবল দেওয়ার দাবি করে। রাশিয়া তখন বলেছিল, ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়া ‘বৈরিভাবাপন্ন’ বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বিশ্ববাজারে দাম পড়ে যাওয়া রুবলকে চাঙ্গা করা রাশিয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু ইইউ জোট তার সদস্য দেশগুলোকে বলেছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম ব্যাংকে ইউরো এবং রুবল হিসাব খোলার যে প্রস্তাব ক্রেমলিন দিয়েছে তা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। সূত্র: ব্লুমবার্গ, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কালাম