জাপান সফরে গিয়ে তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়েছে চীন।
এজন্য চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, আমেরিকা যেন তাইওয়ান প্রসঙ্গে মুখ সামলে কথা বলে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।বাইডেন সোমবার টোকিওতে বলেন, “চীন তাইওয়ানে হামলা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “চীন তাইওয়ানের একেবারে কান ঘেঁষে জঙ্গি বিমান উড়িয়ে এবং অন্যান্য সামরিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইতোমধ্যেই বিপদ নিয়ে খেলছে।” এ সময় তিনি তাইওয়ান পরিস্থিতির সাথে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার তুলনা করেন।
বাইডেনের এই বক্তব্যের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, তাইওয়ান ও ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এই দু’টিকে তুলনা করা উদ্ভট ব্যাপার।
তিনি বলেন, তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে কোনরকম আপোষ বা ছাড়ের সুযোগ নেই এবং আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কাউকে দেব না।
তিনি আমেরিকাকে এক চীন নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
জো বাইডেনের কঠোর হুঁশিয়ারির জবাব দিতে গিয়ে লিজিয়ান বলেন, “আমেরিকার একথা জানা নেই যে, চীন নিজের ভূখণ্ড রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে।”
উল্লেখ্য, আমেরিকার সাথে তাইওয়ানের কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক যোগাযোগ নেই। কিন্তু আমেরিকা তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক বিষয়ক এক ধারার অধীনে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি করে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট নামে এই ধারায় বলা আছে যে তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে সেজন্য আমেরিকা দ্বীপটিকে সহযোগিতা করবে।
আমেরিকা পাশপাশি চীনের সাথেও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং চীনের সরকার যে একটাই, এ বিষয়ে চীনের অবস্থানকে আমেরিকা কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতিও দিয়ে থাকে। সূত্র: আল-জাজিরা, স্কাইনিউজ এইউ, সিএনএন, চায়না ডেইলি
বিডি প্রতিদিন/কালাম