মিয়ানমারের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ও নতুন নির্বাচনী আইন জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা প্রশাসন।
নতুন এ আইনের আওতায় দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোকে দুই মাসের মধ্যে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে।
এ আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের ৯০ দিনের মধ্যে দলগুলোকে অবশ্যই অন্তত ১ লাখ সদস্য সংগ্রহ করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। একই সঙ্গে ১৮০ দিনের মধ্যে মিয়ানমারের অন্তত অর্ধেক শহরে দলীয় কার্যালয় খুলতে হবে। কোনো দল এতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
২০২০ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয় পায়। তবে ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা। জরুরি অবস্থা চলতি জানুয়ারিতেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এর পরপরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নির্বাচন সামনে রেখেই নতুন আইন সামনে এনেছে সামরিক জান্তা।
চলতি মাসের শুরুতেই মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, দেশে বহু দলের অংশগ্রহণে একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আয়োজন করবে সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, সামরিক জান্তার অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করা হলে, তা হবে একটি ‘ধোঁকাবাজি। সূত্র: রয়টার্স
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল