আর মাত্র কয়েক দিন পর এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ইউক্রেনে রুশ ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে এই সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে ইউক্রেনে বড় আকারে বিমান হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার জড়ো করছে রুশ বাহিনী। এমনটি দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার ন্যাটোর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান জড়ো করার অর্থ হল- যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে হবে।
ওই গোয়েন্দা আরও বলেছেন, “যদি ইউক্রেনীয়দের রক্ষা করতে হয়, তাহলে তাদের পর্যাপ্ত ও যতটা সম্ভব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র দিতে হবে।”
অপরদিকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দফতরে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, বর্তমানে ইউক্রেনের যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে তা রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত না।
তিনি বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত কিয়েভের জন্য পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষণ আমাদের কাজ করে যেতে হবে। কারণ বর্তমানে বড় হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমরা জানি রাশিয়ার যথেষ্ট যুদ্ধবিমান আছে… এবং শক্তি রয়ে গেছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে রাশিয়া যখন তাদের বিমান বাহিনীকে হামলার কাজে নিয়োজিত করবে সেই হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের পর্যাপ্ত শক্তি থাকবে।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ন্যাটোর দু’জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ফিক্সড-উইং এবং রোটারি বিমান জড়ো করছে। তারা বলেছেন, রাশিয়ার স্থল সেনাদের শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। আর এখন ধারণা করা হচ্ছে তারা আকাশ শক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবে।
তারা আরও বলেছেন, যদি ইউক্রেনীয়দের রক্ষা করতে হয় তাহলে তাদের পর্যাপ্ত ও যতটা সম্ভব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র দিতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম